ধর্ষকের জমি-বাড়ি বেচে নির্যাতিতার হাতে তুলে দেওয়া হল ৯০ লক্ষ টাকা


ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজা হয় মৃত্যুদণ্ড। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইনের মারপ্যাঁচে দোষী শাস্তি পেলেও নির্যাতিত ও তাঁর পরিবার নিজেদের প্রাপ্য পায় না। তাদের কথা কেউ ভাবেন না। তবে এক বিরল ঘটনা ঘটল পাঞ্জাবে। ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তের সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল ৯০ লক্ষ টাকা। সরকারই ক্ষতিপূরণ হিসাবে এই টাকা তুলে দিয়েছে।



আদালতের সাজা
সাজাপ্রাপ্তের নাম নিশান সিং। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে সে সাজা খাটছে। ২০১২ সালের সেই ঘটনায় সে শাস্তিও পেয়েছে। তারই নামে থাকা জমি-সম্পত্তি সরকার বিক্রি করার উদ্যোগ নেয়।



উদ্যোগ সরকারের
মঙ্গলবার নিলামে কেউ এগিয়ে না এলে পাঞ্জাবের ফরিদকোটের জেলা রেড ক্রস সোসাইটি চার একর জমি যা নিশানের নামে ছিল তা কিনে নেয়। তা থেকে পাওয়া টাকার মধ্যে ৫০ লক্ষ নির্যাতিত যুবতীকে দেওয়া হয়। বাকী ২০ লক্ষ টাকা করে তাঁর বাবা ও মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।



নির্যাতিতকে ক্ষতিপূরণ
মাস দুয়েক আগে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সাজাপ্রাপ্ত নিশান ও তার মা যে নিজেও সাজাপ্রাপ্ত, দুজনের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা নির্যাতিতার হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৯০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়।তারপরই নিলামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।



২০১২ সালের ঘটনা
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় নিশান। গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে সকলকে ভয় দেখিয়ে সামনে থেকে কিশোরীকে অপহরণ করে। একমাস পরে গোয়া থেকে মেয়েটি উদ্ধার হয়। ধর্ষণের ফলে সে গর্ভবতী হয়ে গিয়েছিল। আদালতের অনুমতি নিয়ে গর্ভপাত করানো হয়।