নৃশংস! ধর্ষণ করে খুন ৩ বছরের শিশুকে, যৌনাঙ্গে মিলল কাঠ


ফের ধর্ষণ করে নৃশংস খুনের ঘটনা। গুরুগ্রামে ৩ বছরের এক শিশুকে চকোলেট দেওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হল। চলল অকথ্য অত্যাচার। ময়নাতদন্তের সময় শিশুটির যৌনাঙ্গ থেকে একটি কাঠের টুকরো মিলেছে। 

রবিবার ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। সোমবার সকালে সেক্টর ৬৬-র গুগা কলোনির একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটির দেহ। অভিযোগ উঠেছে ভিনরাজ্যের ২০ বছরের শ্রমিক সুনীল কুমারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সে উত্তরপ্রদেশের মথুরার নওগাঁওয়ের বাসিন্দা। মা ওদুই বোনের সঙ্গে দেখা করতে গত সপ্তাহে গুরুগ্রাম গিয়েছে সে। ACP(ক্রাইম) শামশের সিং জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকেই সে নিরুদ্দেশ। অভিযুক্তদের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।

থানা থেকে ২টি দল ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে দুটি দল নিয়ে গঠিত চারটি দল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে ফরেন্সিক দল। শিশুটির ময়নাতদন্ত করার পর ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ডা. দীপক মাথুর জানিয়েছেন, 'শিশুটির যোনির ভিতর থেকে বের করা হয়েছে ১০ সেমির একটি কাঠের দণ্ড। সারা শরীরে প্রচুর ক্ষত মিলেছে। মাথায় জোরালো আঘাত ও অত্যধিক রক্তক্ষরণের ফলেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ওর মাথার ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এ জন্য খুলিটি ভেঙে গিয়েছে। এছাড়াও শিশুটির কাঁধে, কোমরে, বুকে ও পিঠে প্রচুর আঘাতের দাগ মিলেছে, এতে বোঝা যায় তার উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছিল।'

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বাড়ির সামনের বস্তিতে বন্ধুদের সঙ্গে শিশুটি খেলছিল। তাকে চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত ডেকে নিয়ে যাওয়ায় তার পরিবারকে বিষয়টি জানায় বন্ধুরা। রাত পর্যন্ত মেয়ে না-ফেরায় নিখোঁজ ডায়েরি করে মেয়েটির পরিবার। সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ এক প্রতিবেশী কাছের মন্দিরের পাশে একটি ঘরে মৃত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করেন। তখন শিশুটির শরীরের উপর তিনটি ইট চাপানো ছিল। মাথা ছিল পলিথিনে মোড়া। আর চারিদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। কিছুটা দূরে পড়ে ছিল শিশুটির জামাকাপড়।