রাম মন্দির নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত? একজোট হলেন ৩০০০ সাধু


নয়াদিল্লি: রামমন্দির ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে একজোট হচ্ছে ৩০০০ সাধু। শনিবার থেকে দু'দিনের বিশেষ বৈঠকে বসছেন ওই সাধুরা। দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে এই বৈঠক করবেন তাঁরা। রাম মন্দির তৈরি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতেই তাঁরা এই বিশেষ বৈঠকে বসছেন বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠক বা জমায়েতের নামকরণ করা হয়েছে 'ধর্মাদেশ'।

সামনেই কুম্ভমেলা। তার আগেই এটাই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সাধু-সন্তদের সবথেকে বড় জমায়েত। অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি স্বামী জিতেন্দ্র সরস্বতী জানিয়েছেন, "সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত সাধুরা অসন্তুষ্ট। তাই তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন বলা যাচ্ছে না। তবে একটা বযসড় সিদ্ধান্ত যে নেওয়া হবে সেটা ঠিকই।" এই সম্মেলনে হিন্দুদের ১২৫টি সম্প্রদায়ের সাধুরা যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে তিনি। ১৯৯০-এর রাম মন্দির নিয়ে আন্দোলনের পর এত বড় জমায়েত এই প্রথমবার।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে যুক্ত সব সাধুরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন যে তাঁরা লোকসভায় রামমন্দির ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাবেন। আরএসএস-ও ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট হিন্দুদের আবেগে আঘাত করেছে। তাই রাম মন্দির ইস্যুতে এই সাধুরা নতুন করে আন্দোলনের পথে যাচ্ছেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

দিল্লিতে সাধু-সন্তদের এই বৈঠক প্রসঙ্গে আরএসএসের জেনারেল সেক্রেটারি ভাইয়াজি যোশী জানিয়েছেন, তিনটি ভাগে ভাগ করে হবে এই বৈঠক। প্রথম পর্বে অযোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনের সময় যে করসেবকদের মৃত্যু হয়েছিল, তাদের স্মরণ করা হবে। এরপর ১৯৯৬-এ যেসব গোরক্ষাকারীদের লোকসভার সামনে মৃত্যু হয়েছিল তাদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্বে ক্রিশ্চানদের ধর্মান্তরণের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে।

সব শেষে ৪ নভেম্বর, রবিবার রাম মন্দির ও সবরিমালা ইস্যুতে বক্তব্য রাখবেন শ্রী শ্রী সহ একাধিক সাধু। হিন্দু ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই তাঁরা বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গিয়েছে।