বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ‘প্রেমিকে’র সঙ্গে দেখা! তারপরই ঘটে গেল নির্মম ঘটনা


চার বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নির্মম পরিণতি হল কিশোরীর। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সায়নী শীল তথা মিষ্টির মৃতদেহ উদ্ধার হল পুকুর থেকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানা এলাকার পানিহাটির ৫ নম্বর রেলগেটে। ডুবুরি নামিয়ে মৃত কিশোরীর দেহ হ্যারিকেন পুকুরে সিঁড়ির নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

সায়নীর বাড়ি সোদপুরের দেশবন্ধুনগরে। কালীপুজোয় সে আগরপাড়ায় মহাজাতি নগরে মামার বাড়ি এসেছিল। সেখান থেকেই চার বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে সায়নী ঠাকুর দেখতে বের হয় বুধবার। তারপর থেকেই কোনও খোঁজ মিলছিল না তার। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে বের রহলেও শেষ দীপ ব্রহ্ম নামে এক যুবকের সঙ্গে সায়নীকে দেখা গিয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।

রাতভর সায়নী ফিরে আসেনি। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু কোনও সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তোলপাড় পড়ে যায় এলাকায়। সায়নীর নম্বরে ফোন করা হচ্ছিল বুধবার থেকেই। বৃহস্পতিবার সকালে ফোন তোলে এক যুবক। সেই যুবক জানায়, ফোনটি তার বাবা কুড়িয়ে পেয়েছে হ্যারিকেন পুকুরের পাড় থেকে।

সেই সূত্র ধরেই শুরু হয় তল্লাশি। পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় সায়নীর জুতো। এরপর ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। সিঁড়ির নিচে থেকে উদ্ধার হয় সায়নীর দেহ। মৃতদের ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা, নাকি নিছক দুর্ঘটনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ সায়নীর বন্ধু-বান্ধবীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

সায়নীর এই রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে উঠে আসছে ক্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক। সম্পর্কের টানাপোড়েনে এই খুন হতে পারে। এখন প্রশ্ন উঠেছে দীপ ব্রহ্মকে নিয়ে। কে এই দীপ ব্রহ্ম, তার সঙ্গে কি সায়নীর পূর্ব পরিচয় ছিল? তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সায়নীর মামী রীতা দাসের অভিযোগের তির ওই দীপ ব্রহ্মের দিকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুকুর পাড়ে বুধবার গভীর রাতে তীব্র বচসা শুনেছিলেন তারা। দীপের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।