মুম্বই বিমানবন্দরে ঠিকা কর্মীদের ধর্মঘট, বিপাকে যাত্রীরা


কর্মী বিক্ষোভে অচলাবস্থা মুম্বই বিমানবন্দরে। বাতিল একাধিক উড়ান। বিমানবন্দরেই আটকে বহু যাত্রী। যাত্রীদের অভিযোগ, উড়ান বাতিল হওয়া নিয়ে কোনও আগাম ঘোষণা করা হয়নি।

বুধবার রাত থেকেই মুম্বই বিমানবন্দরে ধর্মঘট শুরু করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার ঠিকা কর্মীরা। বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারি বিমান সংস্থাটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমছিল ঠিকা কর্মীদের মধ্যে। স্থায়ী চাকরি তথা ভাতা বাড়ানো নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে কর্মীদের চলছিল আলোচনা চলছিল। সূত্রের খবর, আলোচনায় কোনও সুরাহা না মেলায় গতকাল রাত থেকে ধর্মঘট শুরু করে 'এয়ার ইন্ডিয়া এয়ার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস লিমিটেড'-এর ঠিকা কর্মীরা। এদিকে গ্রাউন্ড স্টাফদের হরতালের ফলে বেশ কয়েকটি বিমান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে সরকারি বিমান সংস্থাটি। এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিক্ষোভের জেরে বিমান চলাচলে কিছু বাধার সৃষ্টি হয়েছে। শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এই বিক্ষোভে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ দু'ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না কোনও খবর। পরিষেবা কতক্ষণে স্বাভাবিক হবে তাও জানাচ্ছে না সংস্থাটি। এক ক্ষুব্ধ যাত্রীর মতে, এবার সরকারের উচিত এয়ার ইন্ডিয়াকে বন্ধ করে দেওয়া। এহেন নিম্নমানের পরিষেবা দেওয়ার কোনও মানে হয় না।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই। নির্ধারিত সময়ে উড়ান না ভরা, বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, কর্মীদের দুর্ব্যবহার এসব যেন জলভাত। লোকসানে চলা বিমান সংস্থাটি বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। তবে 'জরাগ্রস্ত' সংস্থাটি ক্রয় করতেও তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ওপর মোটেও আস্থা রাখতে পারছে না যাত্রীরা।