ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ


ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ। বিজ্ঞান বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ জানিয়ে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক সহকারী মহিলা গবেষক। তাঁর দাবি, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করাই শুধু নয়, ট্যুরে গিয়ে একই ঘরে থাকতেও চেয়েছিলেন ওই অধ্যাপক। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সহকারী গবেষকের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গিয়েছে।

দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু পঠনপাঠনই নয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাও করেন অনেকেই। গবেষণার কাজ চলে বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকদের তত্ত্বাবধানে। বিজ্ঞান বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক মহিলা সহকারী গবেষক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন, ''সহকারী গবেষকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি। প্রায় রোজই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অভিযুক্ত অধ্যাপকদের সঙ্গে দেখা হয়। মানসিক চাপ আর সহ্য করতে পারছেন না।'' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ওই সহকারী মহিলা গবেষকের বক্তব্য, যখন বিজ্ঞান বিভাগের ওই অধ্যাপকের অধীনে তিনি গবেষণা করতেন, তখন তাঁকে উদ্দেশ্য করে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতেন ওই অধ্যাপক। শুধু তাই নয়, গবেষণা সংক্রান্ত কাজে অভিযুক্তের সঙ্গে ইউরোপেও যেতে হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ওই সহকারী মহিলা গবেষককে। তাঁর দাবি, তখন হোটেলে একই ঘরে থাকার জন্য রীতিমতো জোরাজুরি করেছিলেন ওই অধ্যাপক। প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই গত ৩০ সেপ্টেম্বর সহকারী গবেষক পদ থেকে ইস্তফা দেন ওই মহিলা। ইস্তফা দেওয়ার  মাসখানেক পর অক্টোবরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি লিখে তিনি গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনমাসের মধ্যে ওই কমিটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে যথারীতি যৌন হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক। বস্তুত, এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগেরই এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল।