বিদ্যুৎ সংযোগই নেই, উলটে প্রৌঢ়কে ২,৭৪৭ টাকার বিল ধরাল দপ্তর!


ফরাক্কা: বছর তিনেক আগে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেও মেলেনি বিদ্যুৎ। নেই মিটারও। অথচ হাতে এসে গিয়েছে বিদ্যুতের বিল! যা দেখে রাতের ঘুম ছুটে গিয়েছে বছর তেষট্টির প্রৌঢ় মইমুর শেখের। ফরাক্কার দক্ষিণ জিগড়ি লিচুবাগানের বাসিন্দাদের ঘরে এমন ভূতুড়ে বিলে ছড়িয়েছে আতঙ্ক৷

ফরাক্কা ব্লকের মহেশপুর পঞ্চায়েতের জিগড়ি গ্রাম। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া এই গ্রাম। প্রায় ৪০ বিঘের লিচুবাগান। দক্ষিণ জিগড়ি পাড়া লিচুবাগান বলেই পরিচিত এই বাগান। প্রায় ১০০ পরিবারের বসবাস সেখানে। বছর তিনেক আগে এলাকায় বিনা পয়সার বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য ফরাক্কা বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে আবেদন নেওয়া হয়। পেশায় দিনমজুর মইমুর শেখও বিদ্যুৎ সংযোগের আশায় যাবতীয় নথিপত্র-সহ আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। তিন বছর অতিক্রান্ত হলেও লিচুবাগানে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর সমস্যার কারণে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। কিন্তু অভিযোগ, দিনমজুর মইমুর শেখ বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে ২ হাজার ৭৪৭ টাকার বিদ্যুতের বিল পান (কাস্টমার আইডি নম্বর ৩৬১৬১৪৭৪৫, মিটার রিডিং ৪৩৭ ইউনিট)। যা হাতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন তিনি।

মইমুর শেখ জানান, 'বছর তিনেক আগে যখন বাড়ি করি বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য এলএনটি কোম্পানির কাছে আবেদন জানাই। কিন্তু আজও বিদ্যুৎ আসেনি বাড়িতে। নেই মিটারও। অথচ বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে এই মোবাইল নম্বরের ৯৫৬৩৫৫৮৬৯৯ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২ হাজার ৭৪৭ টাকা।' জিগরি গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষের স্বামী ইফতিকার হোসেন ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, "ফরাক্কা বিদ্যুৎ দপ্তরের ভূতুড়ে বিলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মইমুর শেখের মতো আমিও দু'বছর আগে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। মাসতিনেক পরেও বিদ্যুৎ না মেলায় পুনরায় অনলাইনে আবেদন জানাই। অনলাইনের আবেদনের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ মেলে বাড়িতে। কিন্তু পুরনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ অক্টোবর মাসে পুরানো আবেদনের বিদ্যুৎ  বিল বাড়িতে এসেছে। ৫ হাজার ২০১ টাকার বিল।" যদিও এই ভূতুড়ে বিল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ফরাক্কা বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজার সুপ্রিয় মাঝি।