ভুয়ো চাঁদার বিল দিয়ে তোলাবাজি, অভিযুক্ত বর্ধমানের পুলিশ অফিসার

অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার।

পুজোর ভুয়ো বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি। আর তোলাবাজি করছেন খোদ একজন পুলিশ অফিসার। পূর্ব বর্ধমান জেলার এক ব্যবসায়ী এমনই অভিযোগ করেছেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।সেই চিঠি পৌঁছতেই তদন্তের নির্দেশ যায় জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের কাছে। তদন্তে নেমে চোখ কপালে ওঠে জেলার পুলিশ কর্তাদেরও।

নাসের খান নামে পূর্বস্থলীর এক ব্যবসায়ী অভিযোগ জানিয়েছিলেন, স্থানীয় থানার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর কবিরুদ্দিন খান তাঁকে একটি কালীপুজোর চাঁদার বিল দিয়ে গিয়েছেন। সেই চাঁদার বিলে লেখা রয়েছে, আরজি পার্টির উদ্যোগে কালীপুজো। প্রতিটি থানাতেই একটি আরজি পার্টি থাকে। যারা মূলত এলাকায় অপরাধ দমন করেন। নাসেরের কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাওয়া হয়। প্রথমে বিষয়টি সত্যি মনে করেছিলেন তিনি।

কিন্তু ক'দিন পরেই তাঁর সন্দেহ হয় যখন থানার কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারের কাছ থেকে জানা যায় যে ওই রকম কোনও পুজো আদৌ হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শুধু তাঁকেই নয়, ওই এলাকার অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই একই ভাবে চাঁদা নিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মী। অভিযোগ, এর পরই তিনি বিষয়টি পূর্বস্থলী থানার আইসি (ইন্সপেক্টর ইন চার্জ) সোমনাথ দাসকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়নি। তার পরই তিনি গোটা বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জানান।

জেলা পুলিশের আধিকারিকরা তদন্তে নেমে ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ভুয়ো চাঁদার বিল দিয়ে তোলাবাজির সমস্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার পরই ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়। জেলার এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা বলেন, "ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।" অন্যদিকে পূর্বস্থলীর আইসি সোমনাথ দাসকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে কালিম্পং জেলার কোর্ট ইন্সপেক্টর হিসাবে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলে পূর্বস্থলীর দায়িত্ব নেবেন গলসি থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক রাকেশ সিংহ।  জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।