অস্ত্রপচার ছাড়াই গলায় আটকে থাকা কইমাছ বের করলেন চিকিৎসক


তমলুক: কোন অস্ত্রপচার ছাড়াই জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকের চেস্টায় সুস্থ হয়ে উঠল এক কিশোর। গলার নলির মধ্যে একটি জ্যন্ত কইমাচ আটকে যাওয়ায় অসুস্থা অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে ভরতি হয় এক কিশোর।

ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তমলুক জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রোপচার ছাড়াই সুস্থ করে তোলে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা এক নজির গড়েছে। চিকিৎসকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিশোরের পরিজনেরা।

বাড়ির কাছে মাঠে বসার সময় আচমকা চোখে পড়ে, পাশেই জলাশয়ে ভাসছে কইমাছের ঝাঁক। জলে ঝাঁপিয়ে একটি মাছ ধরে সেটি মুখে কামড়ে আরও মাছের সন্ধানে জলে হাতড়াচ্ছিলেন তমলুকের শিউরির বাসিন্দা বছর পনেরোর কিশোর আমিনুল মল্লিক।

আচমকা কথা বলতে গিয়ে মুখে কামড়ে ধরে থাকা মাছটি চলে যায় গলায়। ধারাল কাঁটায় ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকে গলার ভিতরের অংশ। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে প্রায় নিস্তেজ হয়ে পড়ে আমিনুল। শেষ পর্যন্ত রক্ষা হল চিকিৎসকদের চেষ্টায়। অস্ত্রপচার ছাড়াই ইন্ডোস্কোপ পদ্ধতিতে মিনিট চল্লিশের চেষ্টায় জ্যান্ত কইমাছই গলা থেকে বের করতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা।

রবিবার দুপুরে সাড়ে ১২ টা নাগাদ এই ঘটনার পর পরিবারের লোকেরা আমিনুলকে নিয়ে যান স্থানীয় কাঁকটিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তমলুক জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয় আমিনুলকে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে কলকাতার হাসপাতালে 'রেফার' করে দেওয়া হয়।

কিন্তু তমলুক জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক(ইএনটি সার্জন) অমিত কুমার খাঁড়া বুঝতে পারেন, কলকাতায় পৌঁছনোর আগেই রোগীর স্বাস্থের অবনতি ঘটতে পারে। সে কারণে ঝুঁকি না নিয়েই তমলুক হাসপাতালেই আমিনুলের গলা থেকে কইমাছ বের করানোর চেষ্টা করেন তিনি এবং সফলও হন। বর্তমানে সুস্থ আছে আমিনুল। তমলুক হাসপাতালের এই ধরনের পরিষেবায় বেজায় খুশি পরিবারের লোকজন।