আরবিআই ভাঁড়ারের ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা চায়


নয়াদিল্লিঃ রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) উপর নিয়ন্ত্রণ কঠোর করতে মরিয়া মোদি সরকার। অন্যদিকে, সরকারের সুরে সুর মেলাতে নারাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব মিলিয়ে দ্বৈরথ ক্রমে তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেলকে ঋণখেলাপিদের নামের তালিকাপ্রকাশ না করার অভিযোগে নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। মঙ্গলবার একধাপ এগিয়ে আরবিআই-এর ভাঁড়ার থেকে ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা দাবি করেছে কেন্দ্র যা ব্যাংকের মোট উদ্বৃত্তের এক তৃতীয়াংশ।

আরবিআই-এর তরফে এবিষয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি জারি না হলেও সূত্রের খবর, কেন্দ্রের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন উর্জিত প্যাটেল। আরবিআই-এর যুক্তি, হাতে থাকা টাকার বড় অংশ বেড়িয়ে গেলে আর্থিক বিপর্যয় সামাল দেওয়া কঠিন হবে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের যুক্তি, ব্যাংকগুলির উপর অনাদায়ী ঋণের বোঝা যেভাবে চেপে বসেছে তা থেকে বেড়িয়ে আসা কঠিন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির লোকসান দিন দিন বাড়ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এদেশের বাজার থেকে লগ্নি সরিয়ে নিচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অচিরেই টাকার জোগান বাড়ানো জরুরি। তাই রিজার্ভ ব্যাংকের হাতে থাকা টাকার একাংশ কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্র।

তবে কেন্দ্রীয় দাবি মানতে হলে আরবিআই-এর নগদের মজুত অনেকটাই ধাক্কা খাবে। সেই কারণেই কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় দিতে রাজি নন উর্জিত প্যাটেল। প্রসঙ্গত, ২০১৭-'১৮ আর্থিক বছরেও আরবিআই সরকারকে উদ্বৃত্ত থেকে ৫০,০০০ কোটি টাকা দিয়েছিল। সরকারের অবস্থানের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধি টুইট করে বলেছেন, 'প্যাটেলের উচিৎ রুখে দাঁড়িয়ে দেশকে রক্ষা করা।' এপ্রসঙ্গে প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেছেন, 'দুপক্ষেরই একে অপরের সমস্যাকে গুরুত্ব দিতে হবে। আরবিআই-এর উচিৎ সিধুর মত সরব না হয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের মত নিজের কাজ করে যাওয়া।'