‌অযোধ্যায় পৌঁছল ২৫ হাজার শিবসেনা কর্মী, জারি ১৪৪ ধারা


অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মানের দাবিতে আগামী ২৫ নভেম্বর জমায়েতের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, শিবসেনা–সহ একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। আর সেজন্য ইতিমধ্যে অযোধ্যা পৌঁছে গিয়েছেন ২৫ হাজার শিবসেনা কর্মী। শনিবার দুপুরে সেখানে যাবেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেও। সন্ধ্যায় সরযূ নদীর তীরে বিশেষ আরতিতে অংশ নেবেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে অযোধ্যায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। মনে করা হচ্ছে, আগামী রবিবার প্রায় ২ লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে চলেছে অযোধ্যায়। আর তাই পরিস্থিতি সামলাতে অযোধ্যায় রয়েছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এডিজি–সহ একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিক। এছাড়া রয়েছেন ১৬০ জন ইন্সপেক্টর, ৭০০ কনস্টেবল, ৪২ কোম্পানি পিএসি, ৫ কোম্পানি র‌্যাফ, এটিএস কমান্ডো। শুধু তাই নয়, গোটা এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য রয়েছে ড্রোন ক্যামেরাও। এর মধ্যেই দলের শীর্ষ নেতা সঞ্জয় রাউত শুক্রবার বলেন, '‌আমরা ১৭ মিনিটে গোটা বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলাম৷ আর অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অর্ডিন্যান্স আনতে এত সময় লাগছে কেন?‌'‌ এখানেই শেষ নয়, সেনার শীর্ষ এই নেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দেবে তাদের দেশ ছাড়া করা হবে৷ যদিও শিবসেনা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, অশান্তি নয়, অযোধ্যায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সমাবেশ করবে তারা। এদিকে, অযোধ্যার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। রবিবারের পরিস্থিতি বিচার করে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন তিনি। পাশাপাশি পরিস্থিতি যাতে ভয়াবহ না হয়, সেজন্য সেনা নামানোর দাবিও জানিয়েছেন মুলায়ম পুত্র।