লোকসভার টিকিটের জন্য পাঁচ কোটি চাওয়া হয়েছিল, বিস্ফোরক মুকুল


লখনউ: লোকসভায় টিকিট দেওয়ার জন্য পাঁচ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলেছেন তাঁরই দলের এক বহিষ্কৃত নেতা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আলিগড় কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ার জন্য তাঁর কাছ পাঁচ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুকুল উপাধ্যায় নামের ওই বহিষ্কৃত বিএসপি নেতা।

শুক্রবার বহুজন সমাজ পার্টি থেকে দলের বিধায়কের ভাই তথা প্রাক্তন এমএলসি মুকুল উপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেন মায়াবতী। এরপরই মায়াবতীর বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ আনেন ওই নেতা। তিনি জানান, ওই পাঁচ কোটি টাকা তিনি দিতে রাজি হননি। এরপর তাঁর ভাই রামবীর জানান যে তাঁর স্ত্রী সীমা ওই সিট থেকে ভোটে লড়বে।

২০১৪ তে গাজিয়াবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন মুকুল। ২০১৭ তে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে শিখরপুর থেকে ভোটে লড়েন তিনি। দুটি নির্বাচনে বিজেপির কাছে হেরে যান তিনি। ২০০৭-এ আলিগড় থেকেও লড়েছিলেন। দল-বিরোধী কাজের অভিযোগেই বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল বলে জানিয়েছে আলিগড়ের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর।

দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ চালাচ্ছিলেন মুকুল উপাধ্যায়। এমনকী বিজেপির অনুষ্ঠানেও নাকি তাঁকে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। বিএসপি-র এক নেতা জানিয়েছে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন মুকুল। কিন্তু রামবীর তাঁর নিজের স্ত্রী'কে টিকিট দিতে চেয়েছিলেন। সেই সম্ভাবনা দেখেই মুকুল বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯-এ ফতেপুর সিক্রি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন সীমা। কিন্তু ২০১৪-তে হেরে যান বিজেপির কাছে।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী'র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন।