কীভাবে মৃত্যু ‘তালিবান পিতা’র? ক্রমশ তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা
ইসলামাবাদঃ পাক সেনার সদর দফতর রাওয়ালপিন্ডিতে খুন করা হয়েছে মৌলানা সামি উল হক-কে৷ এই পাক কট্টরপন্থী নেতা 'তালিবান পিতা' হিসেবেই পরিচিত ছিলেন৷ তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। চাঞ্চল্য তৈরি হওয়ার পাশাপাশি কট্টরপন্থী এই নেতার মৃত্যু ঘিরে তরি হয় বিভ্রান্তিও। কারণ এই ঘটনার পরেই একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতে থাকে যে হককে খুব সামনে থেকে গুলি করা হয়েছে। এমনকি একাধিকবার ছুরিও মারা হয়েছে বলে খবর উঠে আসতে শুরু করে। যদিও পাকিস্তান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গুলি নয়, শরীরে একাধিক ছুরির আঘাত রয়েছে।
ধর্মীয় এই নেতার এক ছেলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাওয়ালপিন্ডির বাড়িতেই তার বাবার ছুরির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে। মাওলানা হামিদ উল-হক জানান, নামাজের পর তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময় তার গাড়িচালক দেহরক্ষী ১৫ মিনিটের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে এসে বাবার রক্তে ঢাকা মৃতদেহ দেখতে পান। যদিও তালেবান নেতাদের শিক্ষক মোল্লা সামির ভাতিজা মোহাম্মদ বিলাল রয়টার্সকে দেন ভিন্ন তথ্য। তিনি জানান, ইসলামাবাদের বাইরে নিজ বাড়িতে ছুরিকাহত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান হাক্কানি মাদ্রাসার এ প্রধান। আর এর ফলেই মৃত্যু ঘিরে নানারকম বিভ্রান্তি।
এই পাক কট্টরপন্থী নেতা 'তালিবান পিতা'র সঙ্গে একাধিক শীর্ষ তেলিবান নেতার যোগাযোগ ছিল। তার সঙ্গে তালিবান শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত৷ পাক আইনসভার প্রাক্তন সদস্য তথা জমিয়ত উলেমা ই ইসলামের প্রধানকে খুনের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে গত কয়েকদিন ধরে চলছে অচলাবস্থা৷ ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইনে ফাঁসির আসামী আসিয়া বিবির মৃত্যুদণ্ড রোধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ তারপর থেকেই কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠনগুলি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে৷ সদ্য ক্ষমতায় আসা ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন৷ এই অবস্থার মাঝেই ধর্মীয় নেতা তথা তালিবান পিতা হিসেবে সুপরিচিত মৌলানা সামি উল হক খুন হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।