নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০০ ফুট গভীরে পড়ল বাস, নিহত অন্তত ১৪ যাত্রী


উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবোঝাই বাস ৩০০ মিটার গভীরে যমুনা নদীতে পড়ে যায়। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার দুপুরে দিল্লি-যমুনেত্রী ১২৩ নং জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল যাত্রীবোঝাই বাসটি। ডামরার কাছে পাহাড়ি রাস্তায় হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ৩০০ মিটার গভীরে নেমে যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বাসটির কিছু অংশ নেমে যায় যমুনায়। দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রাই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। যদিও, বাসটি অত্যন্ত গভীরে নেমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের পক্ষে উদ্ধার কাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য এনডিআরএফের দল সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গুরুতর আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঠানো হয় হেলিকপ্টারও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এবং ১৩ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৩ জনকেই হেলিকপ্টারে করে হৃষিকেশে এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ৩২ আসন বিশিষ্ট বাসটিতে আরও যাত্রী ছিলেন, তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

ইতিমধ্যেই, ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি, আহতদের চিকিৎসায় সবরকম সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার পাঠানো হয় বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। এদিকে আজই বদ্রীনাথে সেনার পাইলট কারের সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।