ভেজাল সস কারবারের পর্দাফাঁস বনগাঁয়, ধৃত মালিক


বনগাঁ: পচা আলু ও কুমড়োর সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে সস্তায় নকল চিলি সস ও টমেটো সসের রমরমা কারবারের পর্দাফাঁস করল পুলিশ৷ এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা হানা দিয়ে বনগাঁর সুভাষনগর এলাকা থেকে প্রচুর নকল সস উদ্ধার করেন৷ গ্রেপ্তার কারখানার মালিক৷

বাজার চলতি চাইনিজ খাদ্যে অন্যতম প্রধান উপাদান সস৷ আর এই সসের নামে এতদিন খাওয়ানো হচ্ছিল বিষ৷ জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহরের বেশিরভাগ সস্তার রেস্তরাঁগুলিতেই ব্যবহৃত হত এই ধরনের সস৷ মূলত, এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা৷ বনগাঁ থানার সুভাষনগর এলাকায় হানা দিয়ে একটি কারখানা থেকে উদ্ধার হয় পচা আলু, ভেজাল সস, কেমিক্যাল, রং ও লেবেল করার মেশিন এবং বিভিন্ন কোম্পানির লেবেল লাগানো প্রচুর প্লাস্টিকের বোতল৷ ৫০০ মিলি, ৬০০ মিলির ভর্তি সস ও কাসুন্দির বোতল৷

ভেজাল সসের কারবার চালানোর অভিযোগে কারখানার মালিক গোপীনাথ পালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর৷ বাপি মণ্ডল ও সুব্রত ঘোষ নামে বাকি দু'জন মালিক এখনও পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত নিজের বাড়িতে বসেই এই কারবার চালাত৷ তারা সস, কাসুন্দি তৈরির কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি৷ একটি ট্রেড লাইসেন্স করেই রমরমিয়ে চালাচ্ছিল কারবার৷ পরে, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অভিযানে পণ্ড হয় গোটা পরিকল্পনা৷ রবিবার অভিযুক্তকে বনগাঁ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ ভেজাল কারবারের অভিযোগ এনে ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ৷

জেরায় কারখানার মালিক জানিয়েছে, প্রথমে বাজার থেকে কম দামে বাতিল আলু, কুমড়ো, টমেটো কিনে আনা হত৷ তারপর সেগুলি একটি ড্রামে ভাল করে মেশানো হত৷ ভাল স্বাদ আনার জন্য কেমিক্যাল দেওয়া হত৷ এরপর রং মিশিয়ে তৈরি হত টমেটো সস, চিলি সস৷ সসগুলিকে বিভিন্ন আকারের বোতলে ভরে বিভিন্ন কোম্পানির লেবেল সেটে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হত৷ তার বেশিরভাগটাই পৌঁছে যেত বিভিন্ন সস্তার রেস্তরাঁয়৷ দামে কম হওয়ায় বিক্রিবাট্টাও ছিল যথেষ্ট৷ সম্প্রতি, নকল খাদ্যদ্রব্য তৈরি নিয়ে জেলা জুড়ে অভিযান চালান এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা৷ চলতি মাসে বনগাঁ থানার পুলিশ গোবরাপুর এলাকা থেকে একটি নকল সর্ষের তেল তৈরির কারবারিকে গ্রেপ্তার করে৷ প্রচুর সর্ষের তেল বাজেয়াপ্ত করা হয়৷