মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে সিবিআই

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি কিনেছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে সেই ছবি নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে সিবিআই। এর আগে ব্যবসায়ী শিবাজি পাঁজার কাছ থেকে ছবি নিয়েছিল সিবিআই। এ বার রোজ ভ্যালির অফিস থেকে ছবি নিয়ে এল তারা। শিবাজির কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল ১০টি ছবি। চলতি সপ্তাহে সল্টলেকে রোজ ভ্যালির দফতর থেকে ৭টি ছবি নেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, সারদা-রোজ ভ্যালি তদন্তের অঙ্গ হিসেবেই ওই সব ছবি তাঁরা জোগাড় করছেন। পরে প্রয়োজনে ওই ছবিগুলি আদালতেও পেশ করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, বাজারে ছবিগুলি যাচাই করে তার মূল্যায়ন করা হবে। পাশাপাশি যে টাকা দিয়ে ছবি কেনা হয়েছে, সেই টাকার উৎস সন্ধানও করা হবে। সিবিআই সূত্রের খবর, যে টাকা দিয়ে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তরফ থেকে ওই সব ছবি কেনা হয়েছিল, তার টাকা বাজার থেকে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তোলা হয়েছিল। তদন্ত মূলত সেই  কারণেই।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে অবশ্য বারবার বলা হয়েছে, ছবি বিক্রি করে যা টাকা এসেছিল তা মানুষের কল্যাণেই খরচ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের এবং রাজ্যপালের ত্রাণ তহবিলেও তা দান করা হয়েছে।

২০১১ এবং ২০১২ সালে পর পর দু'বছর মুখ্যমন্ত্রীর আঁকার ছবির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমটি ক্যামাক স্ট্রিটের একটি স্টুডিয়োয়। দ্বিতীয়টি টাউন হলে। সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১১ সালে প্রদর্শনীর দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের তৎকালীন এক সাংসদ। সে বছরেই শিবাজি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি কেনেন। যার মধ্যে ১০টি ছবি চেয়ে পাঠায় সিবিআই।

পরের বছরের প্রদর্শনীর দায়িত্বে ছিলেন শিবাজি নিজে। পর পর এই দু'বছর বেশ কিছু ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং অন্যেরা মিলে মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা প্রায় ২৫০টি ছবি কিনেছিলেন বলে দাবি করেছে সিবিআই। তার মধ্যে রোজ ভ্যালির তরফ থেকেও কিছু ছবি কেনা হয়েছিল বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি।