অপহরণের পর পা ভেঙে একের পর এক ধর্ষণ! শেষমেশ জালে অভিযুক্ত


দিল্লি : কোনও সাইকো থ্রিলারের থেকে কম নয়। প্রথমে অপহরণ, পরে শারীরিকভাবে অক্ষম করে দিয়ে ধর্ষণ। যৌন তৃপ্তি শেষে নিগৃহীতাকে হত্যা। এভাবেই একের পর এক অপরাধ করে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল বছর কুড়ির সুনীল কুমার। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি থেকে অভিযুক্তকে ধরার পর জেরা শুরু করে পুলিশ। আর জেরা থেকে উঠে আসছে একের পর এক হাড়হিম করা তথ্য।

গুরুগ্রামের বস্তি এলাকা। বছর তিনের এক শিশুকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগে সুনীলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুরু হয় জেরা। সুনীল পুলিশকে জানায়, শিশু এবং নাবালিকাদের অপহরণের পর প্রথমে তাদের পা ভেঙে দিত সে। পরে ধর্ষণ করত। শেষমেশ প্রমাণ মুছে ফেলতে ধর্ষিতাকে করা হত হত্যা।
তিন থেকে সাত বছরের প্রায় ৯জন শিশু এবং নাবালিকাকে এভাবেই ধর্ষণ করে খুন করেছে সুনীল। পুলিশি জেরায় সেকথা স্বীকার করে নিয়েছে সে। এই ৯ শিকারের মধ্যে ৪জন দিল্লির, গুরুগ্রামের ৩জন এবং ঝাঁসি ওবং গোয়ালিয়রের একজন করে। এদের কাউকে মিষ্টি তো কাউকে টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল। 

গুরুগ্রামে বস্তি এলাকায় নিজের বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়েও একই কায়দায় তিন বছরের শিশুকে অপহরণ এবং ধর্ষণ করে সুনীল। কিন্তু, এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার তদন্তে নেমে ঝাঁসি থেকে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৮দিন পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। মাঝেমধ্যে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা সুনীল নিজের পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড় করাতে পারেনি। তাকে জেরা করে পুলিশ বাকি শিশু এবং নাবালিকাদের হদিশ পেতে চাইছে।

কিন্তু এভাবে দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া একের পর এক শিশু অপহরণের ঘটনা ঠেকানোর উপায় আদৌ কি আছে পুলিশের? উঠছে প্রশ্ন। CRY-এর আধিকারিক প্রীতি মেহেরা বলেন, "এটা দুর্ভাগ্যের যে ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি থাকা সত্ত্বেও এখনও ভারতে এধরনের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ, সরকারি আধিকারিক এবং গোটা সমাজের উচিত নিগৃহীত এবং তাদের পরিবারের পাশে থাকা।"