চাইল্ড পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি? হতে পারে সাত বছরের জেল!


চাইল্ড পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত? বন্ধু মহলে সেসব ভিডিও শেয়ারও করে থাকেন নাকি? তাহলে সাবধান। কারণ এবার এসবের জন্য কিন্তু সাত বছর পর্যন্ত হাজতবাসও হতে পারে। হ্যাঁ, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি রুখতে নয়া উদ্যোগ নিয়েছে নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রক। শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি, দেখা কিংবা নেটদুনিয়ায় তা ছড়িয়ে দিলে অভিযুক্তের যাতে কঠোর শাস্তি হয়, তেমনই আইন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হবে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি হবে সাত বছর পর্যন্ত জেল। ইতিমধ্যেই এনিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আইনমন্ত্রক সবুজ সংকেত দিলেই বাস্তবায়িত হতে পারে নয়া আইন।

সস্তার ইন্টারনেটের যুগে ক্রমেই বাড়ছে চাইল্ড পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তি। আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তা ছড়িয়েও পড়ছে দ্রুত। যা থেকে তৈরি হচ্ছে অপরাধমূলক মানসিকতাও। এ নিয়ে চিন্তিত নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী মানেকা গান্ধী। পকসো আইনের ১৫ নম্বর ধারায় সংশোধন আনার সুপারিশ দিয়েছেন তিনি। সংশোধনী আইন অনুযায়ী, কারও মোবাইল বা ল্যাপটপে চাইল্ড পর্ন সংক্রান্ত কোনও ছবি বা ভিডিও পাওয়া গেলে অভিযুক্তকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যদি এধরনের কোনও ভিডিও এসে পৌঁছায়, তাহলেও গ্রাহককে তা জানাতে হবে পুলিশকে। নাহলে মোটা অঙ্কের জরিমানা হতে পারে সেই সেই ব্যক্তির। প্রথমবারের অপরাধে কমপক্ষে ১০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। আর অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। তবে পকসো আইন সংশোধনের ক্ষেত্রেও কিছু প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ বা আদালতের কাছে প্রমাণ দেওয়ার জন্য যদি কোনও ব্যক্তি এধরনের ভিডিও নিজের মোবাইল বা ডেস্কটপে সেভ রাখেন, তাহলে তাঁকেও কি শাস্তির মুখে পড়তে হবে? সংশোধনীতে উল্লেখ রয়েছে, এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে ভিডিও রাখার সপক্ষে যুক্তি দিতে হবে।