১০-২০ টাকার দিন শেষ! ন্যূনতম ৩৫ টাকার রিচার্জ না করালে বন্ধ হবে নম্বর


শুধুমাত্র ফোন নম্বরটাকে চালু রাখার জন্য ১০ টাকা বা ২০ টাকার রিচার্জ করাচ্ছেন অনেকেই। বা শুধুমাত্র কল রিসিভ করার জন্যই নামমাত্র টাকায় রিচার্জ করিয়েই দিব্যি চালিয়ে দিচ্ছেন। তবে আর নয়, এ সুবিধায় এ বার রাশ টানতে চলেছে ভোডাফোন, এয়ারটেল।

সংস্থা দু'টি সম্প্রতি জানিয়েছে, যে সব গ্রাহক মাসিক ৩৫ টাকার নীচে রিচার্জ করছেন, খুব শীঘ্রই তাঁদের ফোন নম্বরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। হিসেব বলছে, ভোডাফোন ও এয়ারটেল যদি এই পদক্ষেপ করে, তা হলে টুজি ব্যবহারকারী ২৫ কোটি গ্রাহকের কানেকশন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

৩৫ টাকার নীচে রিচার্জ করেন ভারতী এয়ারটেলের এমন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। অন্য দিকে, ভোডাফোন আইডিয়ার এই সংখ্যাটা আরও বেশি। প্রায় ১৫ কোটি। দু'টি সংস্থারই মাসিক ৩৫ টাকার প্ল্যান আছে। কিন্তু তার পরেও দেখা যাচ্ছে নির্ধারিত ওই প্ল্যানের থেকে কম টাকায় রিচার্জ করাচ্ছেন গ্রাহকেরা!

ভারতী এয়ারটেলের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া) বলেন, "আমাদের ৩৩ কোটি গ্রাহক রয়েছেন। কিন্তু পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে যে, একটা বিশাল সংখ্যক গ্রাহক খুব কম টাকার রিচার্জ করছেন। সংখ্যাটা প্রায় ১০ কোটি।" ভোডাফোনও একই কথা জানিয়েছে। সংস্থার সিইও বলেশ শর্মা বলেন, "বিশাল সংখ্যক গ্রাহক শুধুমাত্র ইনকামিং পরিষেবা চালু রাখার জন্য কম টাকার রিচার্জ করছেন।"

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশাল সংখ্যক গ্রাহক বছরভর কম টাকার রিচার্জ করে যাওয়ারফলে সংস্থার রাজস্ব অনেকটাই কম আসছে।মাসিক ন্যূনতম রিচার্জ যদি ১০ টাকা হয়, তা হলে এয়ারটেলের মাসিক রাজস্ব আয় হচ্ছে ১০০ কোটি।যদি নতুন ব্যবস্থা চালু করা হয়, তা হলে বহু গ্রাহকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে ঠিকই, কিন্তু ন্যূনতম রিচার্জ ৩৫ টাকা হলে সেই ঘাটতিটা অনেকটাই মিটবে বলে আশা প্রকাশ করেছে এয়ারটেল। সে ক্ষেত্রে ১৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে প্রতি মাসে।

সূত্রের খবর, রাজস্ব বাড়ানোর একটা ব্যাপার তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে সংস্থা দু'টি চাইছেটুজি পরিষেবাকে বন্ধ করে দিতে। এখন ফোর জি পরিষেবা দিচ্ছে মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলি। ফোর জি নেটওয়ার্ক নিয়ে রমরমিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে তাদের মধ্যে। আর এই নেটওয়ার্কে গ্রাহকদের আরও বেশি করে টানার জন্য নানা রকম সস্তার অফার দিচ্ছে তারা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে টু জি নেটওয়ার্ক প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়ছে। আর সেই সব গ্রাহককে ফোর জি পরিষেবায় টেনে নিয়ে আসার একটা চেষ্টাও করা হবে।