UGC-এর নতুন এই নিয়ম না মানলে আটকে যাবে ফেলোশিপের টাকা


কলকাতা: গবেষকদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে নতুন নির্দেশিকা জারী করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(UGC)৷

নতুন নিয়মে ফেলোশিপের আওতায় থাকা গবেষকদের প্রতিমাসের ১০ তারিখে দিতে হবে গবেষণার তথ্য এবং HRAসার্টিফিকেট৷ না হলে বন্ধ করা হবে ফেলোশিপের টাকা দেওয়া৷ RGNF/NET JRF/ DSKPDF/MANF -এর আওতায় গবেষণার জন্য যারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে সরাসরি অর্থ পেয়ে থাকে তাদের জন্যই এই নিয়ম বলে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে৷ নভেম্বর, ২০১৮ থেকেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে৷

কিন্তু হঠাৎ কেন এই নতুন নিয়ম? বিশেষজ্ঞদের মতে এমন গবেষকও রয়েছেন যারা পিএচডির জন্য রেজিস্ট্রেশন করার পর গবেষণার কাজ এগিয়ে নিয়ে না গেলেও প্রতিমাসের ফেলোশিপের প্রাপ্য অর্থ পেয়ে থাকেন৷ পরে এমনও দেখা গিয়েছে তারা গবেষণার কাজ শেষ করেননি৷ আবার কিছু সংখ্যক পিএইচডিরত ছাত্র/ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না৷ এসব রুখতেই এই নয়া দাওয়াই ইউজিসি-র৷


নেটের মাধ্যমে জুনিয়ার রিসার্চ ফেলো(JRF)-এ পাশ করা গবেষকরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতিমাসে তিন ধরনের অর্থ পেয়ে থাকেন,

১- ফেলোশিপ বাবদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা

২-HRA বাবদ ৩,৫০০ টাকা থেকে ১০,০০০ অবধি(বিশ্ববিদ্যালয় এবং শহরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে)

৩- সারা বছরে কন্টিজেন্সি বাবদ আরও ১০,০০০টাকা৷

এই টাকা দেওয়া হয় পাঁচ বছর ধরে৷ তবে যদি কোন গবেষক গবেষণার প্রথম দু'বছরে ভালো কাজ করতে পারেন তাহলে JRF থেকে SRF(সিনিয়ার রিসার্চ ফেলো) হওয়ার সু়যোগ থাকে৷ তখন ফেলোশিপ থেকে প্রাপ্ত অর্থ এবং কন্টিজেন্সির টাকা কিছুটা বাড়ে৷

নতুন নিয়মে কী কী সুবিধা কিংবা অসুবিধা হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের গবেষক অভিষেক রায় জানান, '' নতুন পদ্ধতিতে সুবিধে এবং অসুবিধে দুটোই রয়েছে৷ UGC গবেষকদের প্রতিমাসে রিপোর্ট দিতে বলায় গবেষণার কাজ দ্রুত হওয়ার সুযোগ থাকছে৷ তবে যে ফেলোশিপের কথা বলা হচ্ছে সেখান থেকে পাওয়া টাকা প্রতিমাসে পাওয়া যায় না৷ কখনও তিনমাস কিংবা ছমাসও অপেক্ষা করতে হয় এই টাকার জন্য৷ এটি খুবই অসুবিধাজনক৷ নতুন নিয়মে যেমন প্রতি মাসে গবেষণার কাজ সার্ভে করতে চাইছে ইউজিসি তেমনই যদি প্রতিমাসে ফেলোশিপের অর্থ পাওয়া যায় তাহলেই সুবিধে হবে৷''

অভিষেক আরও বলেন, ''বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গবেষণার সার্ভে করতে চাইছে এবিষয়ে কোন অসুবিধা নেই৷ কিন্তু অনেক সময় গবেষণার কাজ করতে গিয়ে কাগজপত্র তৈরি করতে সময় লেগে যায়৷ সেদিকটাও ভেবে দেখা দরকার৷ হয়ত কোনও কারণে ১০ তারিখে রিপোর্ট জমা দিতে না পারলে যদি ফেলোশিপের টাকা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে অনেক গবেষকই অসুবিধায় পড়বেন৷'

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশ মতোই এই মর্মে বৃহস্পতিবার একটি নোটিস বার করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়৷