ভানুভবন হামলা কাণ্ডে গুরুং-সহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট


শিলিগুড়ি: ভানুভবনে হামলার ঘটনায় প্রাক্তন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং, রোশন গিরি সহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিআইডি। সোমবার দার্জিলিং সদর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০১৭ সালের ৮ জুন দার্জিলিংয়ের ভানুভবনে হামলা চালায় মোর্চা সমর্থকরা। চার্জশিটে গুরুংয়ের স্ত্রী আশা গুরুং এবং ছেলে অভিষেকের নামও রয়েছে। তা ছাড়া রোশন গিরি-সহ বিমলপন্থী এক সময়ের শীর্ষ নেতাদের নাম রয়েছে চার্জশিটে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার দেড় বছরের মাথায় চার্জশিট জমা দেওয়া হলে বলে সিআইডির এক কর্তা জানিয়েছেন।

ভানুভবনে হামলার ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। এরপর থেকে পাহাড়ে দু'মাসের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিক হিংসা চলে। তাতে প্রাণ হারান পুলিশ কর্মী-সহ নিরীহ বেশ কয়েকজন পাহাড়বাসী। ৯ জুন দার্জিলিং সদর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিমল গুরুং, প্রকাশ গুরুং, রোশন গিরি, অশোক ছেত্রী, ডি কে প্রধান, তিলক রোকা ও আশা গুরুং-দের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। হামলায় বহু নথি নষ্ট হয়ে যায়। ফাইলপত্র নষ্ট হয়ে যায়। এরপরই পুলিশ গুরুং-সহ অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ বাহিনী দফায় দফায় অভিযান চালায়। বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়। একাধিক নেতা গ্রেপ্তার হলেও মূল অভিযুক্ত বিমল অধরাই রয়ে যায়।

মূলত দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হওয়ার পরই সপরিবারে পাহাড় ছাড়েন বিমল। গোপন আস্তানা থেকে মাঝেমধ্যে অডিও এবং ভিডিও বার্তা দিয়ে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করলেও সামনে আসেনি সে। সিআইডি সূত্রে খবর, চার্জশিটে খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারা যুক্ত করা রয়েছে। এই মামলার তদন্তে ৫০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন গোয়েন্দারা। ৪৫ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।