৩ দিনেই মিটল প্রায় আড়াই লাখ ট্র্যাফিক কেস, কোশাগারে এল ৯০ লাখ


কলকাতা : অভাবনীয় সাড়া পেল কলকাতা পুলিশের নতুন প্রকল্প। মাত্র ৭২ ঘণ্টাতেই সরকারের কোশাগারে জমা হল ৯০ লাখ টাকা। বহুদিন ধরে পড়ে থাকা ট্র্যাফিকের ২.৩ লাখ কেস মিটে গেল এই সময়ে। বিষয়টি নিয়ে খুশি লালবাজার।

আইনি জটিলতার প্রশ্নে অনেকেই মেটাননি কলকাতা পুলিশের ট্রাফিকের কেস। লালবাজার ট্রাফিক বিল্ডিংয়ের রেকর্ড বলছে ১৫-১৬ বছর আগের মামলাও পড়ে রয়েছে বহু। সেই সব কেসের ভার কমাতে এবং আইনি জটিলতা এড়াতে নতুন স্কিম এনেছে কলকাতা পুলিশ। পুরোনো কেস মেটাতে করা যাচ্ছে "ওয়ান টাইম সেটেলমেন্ট"। আর এই সেটেলমেন্টে পাওয়া যাচ্ছে বিপুল ছাড়। গত শুক্রবার লালবাজারে একথাই জানিয়ে ছিলেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তাতে যে এত বিপুল সাড়া পাওয়া যাবে ভাবেননি প্রায় কেউই। লালবাজারের পুলিশকর্তাদের আশা, আজকের মধ্যেই সরকারের কোশাগারে আসবে এক কোটিরও বেশি টাকা।

কলকাতা পুলিশের তথ্য বলছে, ট্রাফিকের মামলাগুলো নিয়ে অনেক সময় সন্দিহান থাকেন সাধারণ মানুষজন। দেখা যায়, কোনও একটি মামলার ফাইন দিতে গিয়ে সামনে আসে আরও বেশকিছু মামলার হিসেব। জনতার উদাসীনতাতেই বহুদিনের পুরোনো অনেক মামলাও পড়ে রয়েছে। অনেকেই মামলার মীমাংসা করেননি। অথচ মামলা না মেটালে গাড়ি বিক্রি করা যাবে না। আবার ইনসিওরেন্স কিংবা পলিউশন করাতে গেলেও মামলা থাকা চলে না। 

রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ট্র্যাফিকের যে মামলাগুলি রয়েছে, তার মীমাংসা একবারেই করা যাবে। এতে বিপুল ছাড়ও পাওয়া যাবে। ১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে মামলার মীমাংসা করা হলে মুকুব করা হবে ৬৫ শতাংশ টাকা। ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মীমাংসা করলে দিতে হবে ৫০ শতাংশ টাকা। আর তাতেই মিলেছে সুফল। একদিকে মিটেছে পুরোনো মামলা। রেহাই পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে সরকারের কোশাগারে জমা হয়েছে অর্থ।