বুলন্দশহরের পর এবার গাজিপুরে পাথর ছুঁড়ে পুলিস খুন


এক মাসের মধ্যে দুবার। বুলন্দশহরের পর গাজিপুর। ফের পুলিস খুন উত্তর প্রদেশে। এবার অভিযোগ নিষাদ পার্টির বিরুদ্ধে। এদিন ঘটনাস্থলের কিছু দূরেই সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই কর্তব্যরত ছিলেন পুলিশ কর্মী সুরেশ ভাট। তিনি ডিউটি সেরে ফেরার পথে নিষাদ পার্টির অবরোধের পথে পড়েন। সেখানে একটি পুলিসের দলকে বিক্ষোভরত দলকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। সেখানে পুলিসের সঙ্গে প্রথমে ধস্তাধস্তি বাধে, তারপরেই প্রতিবাদী গুণ্ডারা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। অনেকটা কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কায়দায়। সেই পাথরের আঘাতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনার পরেই মৃতের পরিবারের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।

বুলন্দশহরে গো হত্যা বিরোধী প্রচারের মুখে পড়ে প্রাণ হারাতে হয়েছিল ইন্সপেক্টর সুবোধ সিংকে। তারপর দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। এরপরেই বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাতেও যে রাজ্য সুরক্ষিত নয়, তা এদনিই ফের প্রমাণিত হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রীর সভার পরেই এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কংগ্রেসের তরফে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে পুলিস সুরক্ষিত নয়। সেখানে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা কী করে দেওয়া হবে।