টিটাগড়ের কারখানায় তৈরি হল অত্যাধুনিক জাহাজ


বারাকপুর: কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধনের হাত ধরে উদ্বোধন হল জাহাজ সাগর তারার। মূলত সামুদ্রিক গবেষনার কাজে ব্যাবহার করা হবে জাহাজ সাগর তারাকে। রাজ্যের বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের জাহাজ কারখানা টিটাগড় ওয়াগন লিমিটেড কোম্পানি এই জাহাজটি নির্মাণ করেছে। জাহাজটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা।
 
২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসান টেকনলজি বা এনআইওটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই সামুদ্রিক গবেষনার কাজে ব্যাবহৃত জাহাজটি নির্মানের বিষয়ে চুক্তি হয়। সেই চুক্তিমত সোমবার রাতে এই জাহাজটি জলে ভাসল। জাহাজটি জলে ভাসার আগে পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি মন্ত্রী ড: হর্ষবর্ধন।

জাহাজটি আপাতত কয়েকদিন পরীক্ষামূলকভাবে বারাকপুরের গঙ্গায় ভাসমান থাকবে। মূলত আবহাওয়া দফতরের আগাম সূচনা দিতে এই সাগর তারা জাহাজ কার্যকারী ভুমিকা নেবে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন।

নতুন এই সামুদ্রিক গবেষণার কাজে ব্যাবহৃত এই জাহাজে আট জন বিজ্ঞানি এবং ১২ জন ক্রু মেম্বার থাকবে। জাহাজটি ৪৩ ফুট লম্বা৷ জাহাজটির বিশেষত্ব হল জাহাজের ২.৫ মিটার অংশ পর্যন্ত সমুদ্রের তলায় থাকবে গবেষণার জন্য। নতুন বছরের শুরুতেই সাগর তারা জাহাজটি চেন্নাইয়ের সমুদ্রে পৌঁছে নিজের কার্যকারিতা শুরু করবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন জানান, নতুন এই অত্যাধুনিক জাহাজটি ভারত সরকার ব্যাবহার করার ফলে আবহাওয়ার আগাম সতর্কবার্তা পাবে। ফলে দেশের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রের মাছ ধরতে যেতে সুবিধা হবে। আগাম আবহাওয়া জেনেই তারা সমুদ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবে। সামুদ্রিক সম্ভার খুঁজে বের করতেও এই জাহাজ কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করবে৷