বিয়ের প্রস্তাব খারিজ প্রেমিকার পরিবারের, নিজের যৌনাঙ্গ কাটলেন গুপ্তিপাড়ার যুবক


বিয়েবাড়িতে প্রথম দেখা। তার পর প্রেম ও বিয়ে। এমন ঘটনার উদাহরণ অনেক রয়েছে। উল্টোটাও ঘটে কখনও কখনও। প্রথম ধাপেই ধাক্কা খায় প্রেম। শেষ হয়ে যায় সম্পর্ক।

আর সেই উল্টো ঘটনাই ঘটেছিল হুগলির গুপ্তিপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে। তিনি অবশ্য সেই ধাক্কা সামলাতে পারেননি। হতাশায় কেটে ফেলেন নিজের যৌনাঙ্গ। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিত্সাধীন।

ওই যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুদিন আগে হুগলির গুপ্তিপাড়ার টেংরিপাড়া এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিল ওই যুবক। বিয়েবাড়িতেই নিমন্ত্রিত হয়ে আসা এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মেয়েটিকে পছন্দ হয় ওই যুবকের।

ওইটুকু সময়েই কিছুটা হলেও দুজনের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। আর তার থেকেই মেয়েটিকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ওই যুবক। বাড়িতে বিষয়টি জানান। তাঁর পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয় মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে। দেওয়া হয় বিয়ের প্রস্তাব। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় মেয়ের বাড়ির লোক।

পরিবারের অনুমান, ওই যুবক পেশায় দিনমজুর। সেই কারণেই হয়তো মেয়ের পরিবার রাজি হয়নি। মেয়েটিকে বিয়ে করতে পারবে না, এটা জানার পর থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল ওই যুবক বলে পরিবারের দাবি।

তারা জানিয়েছে, রবিবার রাতে হঠাত্ ওই যুবকের আর্তনাদ কানে আসে বাড়ির সদস্যদের। তাঁরা গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

সেখানে প্রাথমিক চিকিত্সা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকায় তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই যুবককে কলকাতায় আনা হয়েছে চিকিত্সার জন্য।