ফৌজদারি অপরাধ, ধর্ষণ, খুনে জড়িত রাজ্যের ৯৪ জন বিধায়ক


ভোপাল: ছবিটা উদ্বেগের তো বটেই, আতঙ্কেরও৷ ২৩০ জন বিধায়কের মধ্যে যদি ৯৪ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকে, তবে আশঙ্কা হয় বইকী! এমনই পরিসংখ্যান দিচ্ছে মধ্যপ্রদেশের সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের ওপর করা এডিআর বা অ্যাসোসিয়েশান অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের একটি সমীক্ষা৷

২৩০ জন বিধায়কের মধ্যে ৯৪ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি অপরাধ, খুন বা ধর্ষণের মত গুরুতর অপরাধ করার অভিযোগ৷ এখানেই শেষ নয়, সেই সমীক্ষা বলছে বিধায়কদের মধ্যে কোটিপতির সংখ্যা গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেড়েছে৷ ২০১৩ সালে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কোটিপতি বিধায়কের সংখ্যা ছিল ১৬১ বা সত্তর শতাংশ৷ ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮৭ বা প্রায় ৮১ শতাংশ৷

এই ১৮৭ জনের মধ্যে ৮৪ শতাংশই বিজেপি বিধায়ক৷ যার সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৯১৷ অন্যদিকে বাকি কোটিপতি বিধায়কদের মধ্যে ৭৯ শতাংশ (৯০ জন) কংগ্রেসের৷ ৫০ শতাংশ বিএসপির ও একজন বিধায়ক সপার বলে খবর৷ তবে পিছিয়ে নেই নির্দল প্রার্থীরাও৷ তাঁদের মধ্যে চারজন কোটিপতি বলে খবর৷

এবার আসি অপরাধের কথায়৷ ২৩০ জন সদ্য নির্বাচিত বিধায়কের মধ্যে ৯৪ জনের বিরুদ্ধেই অপরাধের খতিয়ান রয়েছে৷ তার মধ্যে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ৷ যার মধ্যে ধর্ষণ, খুনের মত অভিযোগও রয়েছে৷ কংগ্রেসের টিকিটে মুলতাই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করা সুখদেব পানসের নামে সর্বাধিক অপরাধের অভিযোগ উঠেছে৷

আশ্চর্যের কথা হল এই সব বিধায়ক, যারা নানা অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে, তাদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে থেকেই ছিল৷ অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট দল এই বিষয়ে অবহিত নয় বলে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারবে না বলেই মত এডিআরের৷ মজার ব্যাপার, এই সব বিধায়করা কেউই নিজের অপরাধের কথা মনোনয়ন পত্রে গোপন রাখেন নি৷ সব নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন তারা৷

তারপরেও তাঁরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন৷ সবচেয়ে বড় কথা জয়লাভ করেছেন৷ এবার বিধানসভায় বসে রাজ্য শাসন করবেন৷ সত্য সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ!