অনুষ্ঠান বাড়িতে বচসা, রাঁধুনি বার করল আগ্নেয়াস্ত্র


অনুষ্ঠান বাড়িতে আইসক্রিম খাওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা বাধে রাঁধুনি ও ক্যাটারারদের ছেলেদের মধ্যে। অভিযোগ, এমন সময় রাঁধুনি আগ্নেয়াস্ত্র বার করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ক্যাটারারদের ছেলেদের।

শনিবার বাদুড়িয়ার চাতরা গ্রামে এই ঘটনায় হুলস্থুল কাণ্ড বেধে যায় বিয়ে বাড়িতে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডল ও সুদীপ্ত চন্দ্র নামে ওই দুই রাঁধুনিকে গ্রেফতার করা হয়। অভিজিতের বাড়ি হুগলিতে। সুদীপ্তের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। অভিজিতের কাছ থেকে একটি গুলি ভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আরও একজন ছিল। তার খোঁজ চলছে। কী কারণে তারা আগ্নেয়াস্ত্র এনেছিল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।      

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই  গ্রামে একটি বাড়ি ভাড়া করে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল। কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর বোনের বিয়ে ছিল। ওই অনুষ্ঠানে চিনা খাবার রান্নার জন্য অভিজিৎ ও সুদীপ্ত-সহ তিনজনকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল। রাত ১১টা নাগাদ অভিজিৎ ও সুদীপ্তের আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করে। তারা ক্যাটারারদের ছেলেদের কাছে গিয়ে আইসক্রিম চায়। কিন্তু ওই ছেলেরা তা দিতে চায়নি। শেষ ব্যাচ না খাওয়া পর্যন্ত আইসক্রিম দেওয়া যাবে না বলে তাঁরা জানান। এরপরেই শুরু হয় গন্ডগোল। এর মধ্যে হঠাৎ আগ্নেয়াস্ত্র বার করে অভিজিৎ হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। বিয়েবাড়ির লোকজন ভয় পেয়ে যান। ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই দু'জনকে গ্রেফতার করে।  এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বচসা চলাকালীনই কোমর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বার করে তেড়ে যায় অভিজিৎ। ওই অনুষ্ঠান বাড়িতে হাজির ছিলেন ভিলেজ পুলিশ বসিরউদ্দিন কবির। তিনি সাহস করে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে অভিজিৎ ও সুদীপ্তকে  ধরে ফেলে। অভিজিতের হাত থেকে রিভলবার কেড়ে নেওয়া হয়। দু'জন ধরা পড়লেও তাদের এক সঙ্গী ভিড়ের মধ্যে পালায়। ধৃত দু'জনকে জনতা মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুই রাঁধুনিকে গ্রেফতার করে। বসিরউদ্দিনের কথায়, ''অতিরিক্ত মদ খেয়ে ওই রাঁধুনি এই ঘটনা ঘটিয়েছে।''