ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মানসিক ভারসাম্যহীন, গ্রেপ্তার প্রতিবেশী


পাঁশকুড়া : লাগাতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘটনাটি পাঁশকুড়া থানার বাড় বাহারপোতা গ্রামের। ৪ মাস পর ধর্ষণের কথা জানাজানি হয়। প্রতিবেশী এক দোকানদারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে নির্যাতিতার পরিবার। তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত অশোক সামন্তকে (৫১) গ্রেপ্তার করে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতা জন্ম থেকেই জড় বুদ্ধিসম্পন্ন। প্রায় রোজই এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করে। বাড়ির টুকিটাকি জিনিসপত্র কেনার জন্য যাতায়াত ছিল অশোকের দোকানে। সেই সুযোগে নিজের দোকানে খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রায় তাকে ধর্ষণ করা হত বলে অভিযোগ। এই ঘটনা এতদিন জানতে পারেনি কেউ। কিন্তু সম্প্রতি নির্যাতিতার শারীরিক পরিবর্তন নজরে পড়ে স্থানীয়দের। এলাকার একজন প্রায় জোর করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় তাকে। সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানা যায় যে যুবতি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই হইচই পড়ে যায় এলাকায়।

ধৃত অশোক সামন্ত বিবাহিত। তার ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। দুই মেয়ে বিবাহিত। যদিও ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে অশোক। নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমার মেয়েকে খুনের হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে অশোক। খাবারের লোভ দেখিয়ে দোকানে নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণের কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে সে। বাড়িতে জানালে গলা টিপে খুন করার ভয়ও দেখিয়েছে অশোক। তাই মেয়ে ভয়ে আমাদের কিছু বলেনি। অশোকের শাস্তির দাবিতে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।" এবিষয়ে, পাঁশকুড়া থানার OC অজিত কুমার ঝাঁ বলেন, "অভিযোগ পেয়েই আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। নির্যাতিতা যেহেতু অন্তঃসত্ত্বা তাই DNA পরীক্ষা হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে ধর্ষকের পরিচয়।"