অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে লাগাতার ‘ধর্ষণ’, স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মহিলা


বিয়ের পরও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে 'ধর্ষণ'। স্বামীর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুললেন স্ত্রী। দ্বারস্থ হলেন পুলিশ ও আদালতের৷ উত্তর কলকাতা লাগোয়া সিঁথির এক গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁর সন্তানের ক্ষতি হতে পারে জেনেও জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন স্বামী। তিনি বাধা দিলে রীতিমতো তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এ ছাড়াও স্বামী নিজেকে ব্যাঙ্কের অফিসার বলেও ভুয়া পরিচয় দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর। সিঁথি থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই মহিলা।

পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর অক্টোবর মাসে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই হুগলির চুচুঁড়ার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে ওই যুবতীর পরিচয় হয়। নিজেকে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক বলে পরিচয় দেন ওই যুবক। পরিচয় হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে যুবতীকে তাঁর কেষ্টপুরের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বিয়ে করেন যুবক। কিছুদিনের মধ্যে দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয় ওই যুবক-যুবতীর। যুবতীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাঁর উপর অত্যাচার চালাতেন। প্রতিনিয়ত যা চলত, তাকে যৌন অত্যাচার ছাড়া অন্য কিছুই বলা যায় না। এর মধ্যেই স্ত্রী জানতে পারেন, তাঁর স্বামী আসলে ব্যাঙ্কে কাজই করেন না। এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এমনকী, স্বামী পণের টাকাও চান। এর মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হন স্ত্রী।

তাঁর অভিযোগ, ওই অবস্থায় তাঁর সঙ্গে জোর করে মিলিত হতেন স্বামী। তিনি রাজি না হলে তাঁকে ধর্ষণ করা হত। সহ্য করতে না পেরে পুলিশ ও আদালতের স্মরণাপন্ন হন ওই মহিলা৷ তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি রাতই ছিল তাঁর কাছে বিভীষিকার মতো। যৌন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান তিনি। সেখানেই তাঁর কন্যাসন্তানের জন্ম নেয়। এর পরই তিনি প্রথমে পুলিশকে বিষয়টি জানান। এর পর আদালতেও অভিযোগ জানান স্বামীর বিরুদ্ধে। শেষপর্যন্ত স্বামীর বিরুদ্ধে অত্যাচার, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। পুরো ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।