চোলাইয়ে কড়া রাজ্য, এবার নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও


চোলাই বিক্রি রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারকে। নজরদারি চালানোর  দায়িত্ব দেওয়া হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে।  এবার থেকে প্রত্যেকে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে চোলাই বিক্রির উপর নজর রাখবে সেই এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। কোনও খবর পেলেই  আবগারি দফতরকে জানাবে তারা। এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে।

সম্প্রতি  নদিয়ার শান্তিপুরে চোলাই মদে বিষক্রিয়ার ফলে নদিয়ার শান্তিপুরে বিষমদ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ আরও ১৮ জন এখন হাসপাতালে ভর্তি। এর মধ্যেই পুলিসের জালে ধরা পড়ল চোলাই মদ কারবারের কিং পিন গণেশ হালদার। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে শান্তিপুরের চৌধুরীপাড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।

বিষমদ খেয়ে একের পর এক মৃত্যুর খবর আসার পরই তদন্তে নামে সিআইডি। সাসপেন্ড করা হয় এক ওসি, দুই সার্কেল ইন্সপেক্টর সহ আবগারি দফতরের এগারো কর্মীকে। ক্লোজ করা হল শান্তিপুর থানার ওসি সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় নতুন ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মুকুন্দ চক্রবর্তীকে।

এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসে পুলিস ও আবগারি দফতরের কর্মীরা। বিভিন্ন জেলায় চোলাইয়ের ঠেক ভাঙার অভিযান শুরু করে পুলিস।  কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রত্যন্ত গ্রামে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলে চোলাই বিক্রি। অনেকে বাড়িতেও চোলাই তৈরি করে বিক্রি করেন। এবার তা রুখতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে দায়িত্ব দিল আবগারি দফতর।

নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত দফতরকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছে আবগারি দফতর। গ্রামে কোনও বাড়িতে চোলাই তৈরি হচ্ছে কিনা, তা নজর রাখতে হবে। পুলিসের পক্ষে সবসময়ই প্রত্যন্ত গ্রামের কোনও বাড়িতে চোলাই তৈরি হচ্ছে কিনা, তা খোঁজ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই সিদ্ধান্ত।