সবাই ভেবেছিলেন কুমীরে খেয়েছে তাঁকে, খোঁজ মিলল ১৮ বছর পর

প্রথমে সকলে ভেবেছিলেন যে লেকের কুমীরের শিকার হয়েছেন উইলিয়াম। পরে অবশ্য সে ভুল ভাঙে।

এমনই একটা ডিসেম্বরের সকাল। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে স্কুলের বান্ধবী তথা স্ত্রীর সঙ্গে ফ্লোরিডার লেক সেমিনোলে গিয়েছিলেন মাইক উইলিয়াম। শিকার করতে একাই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আর ফিরে আসেননি। তন্নতন্ন করে খুঁজে জল থেকে জামাকাপড়, গাড়ি পেলেও, উইলিয়ামকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের খাতায় লেখা হয়, লেকের কুমীরের পেটেই চলে গিয়েছেন উইলিয়াম। সেই উইলিয়ামকেই ১৮ বছর পর খুঁজে পেল পুলিশ। লেকেই কাছে একটি কবর থেকে।

ফ্লোরিডা পুলিশ জানিয়েছে, কুমীর নয়, আদপে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। আর এই ঘটনা গ্রেফতার হয়েছে তাঁর স্ত্রী এবং বন্ধু উইনচেস্টার।

স্ত্রী ডিমাইস এবং মাইক উইলিয়াম। সেই স্কুল থেকেই খুব ভাল বন্ধু ছিলেন দু'জনে। পরে বিয়েও করেন। ২০০০ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিবাহবার্ষিকী পালন করতে ফ্লোরিডার ওই লেকে গিয়েছিলেন। কিছু পরে স্ত্রী ডিমাইস পুলিশকে ফোন করে বলেন, উইলিয়াম শিকার করতে গিয়ে আর ফেরেননি। খোঁজ শুরু হয়। পুলিশ ছাড়াও খবর পেয়ে নৌকা নিয়ে তাঁর তল্লাশি শুরু করেন আর এক বন্ধু ব্রায়ান উইনচেস্টারও। অনেক রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও উইলিয়ামের খোঁজ মেলেনি। উল্টে লেকের কাছ থেকে পার্কিং করা তাঁর গাড়ি এবং লেকের জল থেকে জামাকাপড় উদ্ধার করে পুলিশ।

তারপর ১৮টা ডিসেম্বর ঘুরে গিয়েছে। এতদিনে সকলে প্রায় নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিলেন, কুমীরের শিকার হয়েছেন উইলিয়াম। তবে তদন্ত চলছিল। বন্ধুবান্ধবকে জিজ্ঞাসাবাদও চলছিল। সম্প্রতি জেরাতেই বন্ধু উইনচেস্টার ভেঙে পড়েন এবং তাঁকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধু উইনচেস্টার এবং স্ত্রী ডিমাইসই পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করেন। তারপর তদন্তের মোড় ঘোরাতে লেকের জলে জামাকাপড় ফেলে দেন। যাতে সকলের সন্দেহ কুমীরের দিকেই যায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, উইলিয়ামের অজান্তেই স্ত্রী ডিমাইস এবং বন্ধু উইনচেস্টারের মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু তাঁদের দু'জনের মাঝখানে উইলিয়াম সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণেই তাঁকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দু'জনে।