ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, জমি কমিটির বাধায় বন্ধ হল সাবস্টেশনের কাজ


জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও কমিটির অভিযোগ শুনছে পুলিশ।


 মাস কাজ চলার পর ফের বন্ধ হয়ে গেল ভাঙড়ের প্রস্তাবিত পাওয়ার সাবস্টেশন তৈরির কাজ। বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়,তাঁরা পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড(পিজিসিআইএল)-এর সাবস্টেশনের কাজ করতে দেবেন না। এর আগে দীর্ঘদিন অচলাবস্থা চলেছে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত চলে এই অচলাবস্থা। কারণ জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও কমিটি আন্দোলন শুরু করেছিল।

পরবর্তীকালে সরকার এবং কমিটির বৈঠকে কিছু চুক্তির উপর ভিত্তি করে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, পাওয়ার গ্রিডের বদলে পাওয়ার সাবস্টেশন তৈরি করা হবে। আর সাবস্টেশন তৈরির পাশাপাশি সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও   কমিটির সমস্ত কর্মীর বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।

জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও কমিটির আহ্বায়ক মির্জা হাসান বলেন, ''অগস্ট মাসের ১৩ তারিখ সাবস্টেশনের কাজ চালু হয়েছিল। আমরাও তাতে সহযোগিতা করব বলেছিলাম। কিন্তু পাঁচ মাসে যে গতিতে গ্সাবস্টেশনের কাজ হয়েছে তার এক শতাংশও কাজ হয়নি এলাকার উন্নয়ণে। পিজিসিআইএল কর্তৃপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী কাজে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়েই কাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছে।''

বছর দেড়েকের এই আন্দোলনের জেরে এর আগেও একবার পাওয়ার গ্রিডের বদলে সাবস্টেশনের কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার পক্ষ। সাবস্টেশনের কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। রাজারহাট-গোকর্ণ-পূর্ণিয়ার দিকে একটি লাইনের কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছিল। জিরাট-সুভাষগ্রামের দিকে দ্বিতীয় লাইনের কাজও অনেক দূর এগিয়েছিল। তার মধ্যেই নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়। মাঝ পথেই থেমে যায় সাবস্টেশনের কাজ। তারপর ১১ অগস্ট সরকার এবং জমি আন্দোলন কমিটির মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক হয়। এলাকার উন্নয়ণ, কমিটির কর্মীদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১২ কোটি টাকা দেওয়ার চুক্তিতে ১৩ অগস্ট থেকে পুনরায় সাবস্টেশনের কাজ শুরু হয়েছিল।