১১ টাকা ‘সস্তা’ তবুও দামি পেট্রল!


গত দে়ড় মাস ধরে দাম কমছে পেট্রল-ডিজেলের। কিন্তু এখনই তেল 'সস্তা', এ কথা মানতে নারাজ ডিলার থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ, অনেকেই। বরং তাঁদের দাবি, যে অস্বাভাবিক চূড়োয় দাম পৌঁছেছিল, তার নিরিখে হয়তো ১১ টাকা পেট্রল 'সস্তা' দেখে সাময়িক স্বস্তি মিলতে পারে। কিন্তু এখনও তা উদ্বেগজনক সীমার  আশপাশেই রয়েছে। 
দ্বিতীয় ইউপিএ-র আমলে পেট্রল-ডিজেলের চড়া দামের জন্য কেন্দ্রকে ক্রমাগত বিঁধতেন বিরোধীরা। যদিও তখন অশোধিত তেলের দাম এখনের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। মোদী সরকার অবশ্য এখন দশের বাজারে তেলের দাম চড়লে সেই বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতিকেই ঢাল করে।

বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশেও পেট্রল-ডিজেলের দাম কমায় কিছুটা যেন স্বস্তির হাওয়া। আজ, রবিবারও দাম কমছে পেট্রল-ডিজেলের। 

কিন্তু সিআইআইয়ের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তথা পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় শনিবার বলেন, ''পেট্রল-ডিজেলের দাম যেখানে পৌঁছেছিল, তার চেয়ে এখন কিছু কম ঠিকই। কিন্তু গত ১৫-১৮ মাসের গড় দামের নিরিখে তেল এখনও দামি।'' বস্তুত, ঠিক এক বছর আগেও তা আরও 
সস্তা ছিল।

রাজ্যের পাম্প মালিকদের একাংশের দাবি, আগে মাসে গড়ে ১০০ কিলো লিটার তেল বিক্রি হলেও দাম বৃদ্ধির জন্য গত ছ'মাসে তা ৮০-৮২ কিলো লিটারে নেমেছিল। দাম কমলেও বিক্রি অল্পই বেড়েছে। ঘাটতি পোষানো তো দূরের কথা। 

তেলের চড়া দর সহ বিভিন্ন কারণে গাড়ি বিক্রি ধাক্কা খাওয়ার অভিযোগ করেছিল ডিলারদের সংগঠন ফাডা-র। পূর্বাঞ্চলে ফাডা-র চেয়ারপার্সন অমিত মানাকতলার বক্তব্য, তেলের দর নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তাড়া করে বেড়ানোয় এখনও অনেকেই গাড়ি কেনার আগে দু'বার ভাবছেন। 

তেল সংস্থাগুলির অবশ্য দাবি, গত বছর ডলারের তুলনায় টাকার দাম আরও কম ছিল। ফলে আমদানি খরচ কম থাকায় দেশে তেলের দাম কম ছিল। তেল বিক্রিতে ভাঁটার অভিযোগও মানতে নারাজ তারা।