বর্ষশেষে সুরাপ্রেমীদের জন্য এবার বিশেষ ব্যবস্থা রেস্তরাঁগুলোর


খাদ্যরসিক বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। আর বছরশেষে মানে পুরনোকে ভুলে নবীনবরণের দিন। তাই একটু পার্টি না হলে চলে! আর পার্টি মানেই দেদার খানাপিনা আর আকণ্ঠ সুরাপান। কিন্তু সুরাপায়ীদের জন্য কড়া নিয়ম শহরের রেস্তরাঁ মালিকদের।

২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর। এই কয়েকদিন পার্টির মেজাজ শহরে তুঙ্গে। পানশালা থেকে রেস্তরাঁ, সব জায়গাতেই ভিড়। আর পানশালা থেকে রাতে গাড়িতে ফেরার সময় হয় অধিকাংশ দুর্ঘটনা। এবার সেই সমস্যায় লাগাম টানতে উদ্যোগ নিল রেস্তরাঁ মালিকরা। আজ এক বৈঠকে বড়দিন ও বর্ষশেষের পার্টিতে সুরাপায়ীদের জন্য একগুচ্ছ নিয়মাবলী তৈরি করলেন মালিকরাই।

বর্ষশেষে পানশালা যাওয়ার আগে কী কী নিয়ম থাকছে জেনে নিন-

বড়দিন তথা বর্ষশেষের পার্টিতে মদ্যপান করলে গাড়ি চালানো যাবে না।

৩০ মিলিলিটারের বেশি মদ্যপান করলে স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখা যাবে না।

পরিবর্তে অতিথিদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলকারের ব্যবস্থা করবে রেস্তরাঁ বা হোটেল কর্তৃপক্ষ।

যদি কেউ পুলকারে না যেতে চান, তাহলে তাঁদের জন্য অ্যাপ ক্যাবের ব্যবস্থা করা হবে।

তাতেও যদি কেউ রাজি না হন, তাহলে নিকটবর্তী থানাকে খবর দেবে হোটেল বা রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ চাইলে ওই ব্যক্তির জরিমানা বা অন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হবে।

বড়দিনের কয়েকদিন আগে থেকে ফেস্টিভ মুড শুরু হয়ে যায় কলকাতায়। পার্কস্ট্রিট-সহ শহরের অনেকাংশে তখন আলোর রোশনাই। পার্টির মেজাজে থাকে অধিকাংশ। ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে নববর্ষ পর্যন্ত শহরের রেস্তরাঁগুলোতে এই নিয়ম থাকবে।

পথ সচেতনতার প্রচারে রাজ্য সরকার চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ' প্রকল্পের প্রচারও চলছে জোরকদমে। তবে, রাজ্যজুড়ে এর প্রচারেরও পরও অবশ্য দুর্ঘটনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আর তাছাড়া বর্ষশেষের সময় প্রতিবছর দুর্ঘটনার প্রবণতা বেশি থাকে তাই। এবার তাই আগেভাগে অতিরিক্ত সচেতনতা অবলম্বন করতে চাইছে হোটেল এবং রেস্তরাঁ মালিকরা।