খুন হওয়ার আগে বাগুইআটির অন্তরা ১০ দিনে এক পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন ৯৭ বার!


বাগুইআটিতে বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু  মামলায় জড়াল সুরজিত ছাড়াও  অন্য একজন পুরুষের নাম। মৃত্যুর আগে শেষ দশ দিনে তার সঙ্গে  নিহত গৃহবধূ  অন্তরা সরকারের ৯৭ বার ফোনে কথা হয়।  ২৮ তারিখ আটটা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে পঞ্চাশ মিনিট কথা বলেন  অন্তরা।  শেষ কলের পর ওই যুবককে অন্তরার ফোন থেকে ব্লক করে দেওয়া হয়। ওই যুবক অন্তরার প্রাক্তন সহকর্মী।  সুরজিত,  অন্তরা ও ওই যুবক তিনজনের একটি সফ্টওয়ারের ব্যবসা ছিল।

বাগুইআটি  অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় অন্যতম সাক্ষ্য প্রমাণ হয়ে উঠতে পারে সুরজিতের পাঞ্চিং কার্ড। জেরায় সুরজিত পুলিসকে জানায় ঘটনার দিন  তিনি অফিস গিয়েছিলেন। দাবির সপেক্ষে তিনি জানান, তিনি অফিসের  হাজিরা খাতায় সই করেছেন।

এখানেই পুলিসের প্রশ্ন যেখানে এতদিন পাঞ্চিং করে অফিসে ঢুকতেন সুরজিত, সেখানে হাজিরা খাতায় সই কেন ? প্রশ্নে উত্তরে সুরজিতের জবাব পাঞ্চিং কার্ড হারিয়ে যাওয়াতেই সই। আর এটাই ভাবাচ্ছে পুলিসকে , সত্যিই কার্ড  হারিয়ে গেছে, না চালাকি করে কার্ড হারানোর গল্প তৈরি করা হচ্ছে। তাই সুরজিত কে নিয়ে পুলিশ তার অফিসে নিয়ে  গিয়ে ভেরিফিকেশন করবে ।

প্রসঙ্গত, সোমবারই বাগুইআটিকে অর্পিতা সরকার নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। স্বামী সুরজিত্ সরকার প্রথমে দাবি করেছিলেন, আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু পুলিসের তদন্তে উঠে আসে অন্য তথ্য। সুরজিতের স্ত্রী  মৃত অন্তরা সরকারের বাপের বাড়ির অভিযোগ, খুন করা হয়েছে অন্তরাকে।  তাদের অভিযোগ, দাম্পত্য কলহের জেরেই খুন হন অন্তরা। সন্তানহীনতার কারণে অন্তরার ওপর মানসিক নির্যাতন চালানো হত। আর সেজন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে। পরে তাদের ফোন করে জানানো হয়,  আত্মঘাতী হয়েছে অন্তরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সন্তানহীনতার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। আর তারপরই এই ঘটনা।

অন্তরার ফোন রেকর্ড খতিয়ে দেখে উঠে আসে আরও এক পুরুষের নাম। এরফলে তদন্তের গতি নেয় অন্যদিকে।  বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।