স্বামীকে বেহুঁশ করে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন স্ত্রী! পরকীয়া ফাঁস হতেই ঘটল নৃশংস-কাণ্ড


স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল স্ত্রীর। স্ত্রীর এই পরকীয়া জানতে পেরে গিয়েছিলেন স্বামী। তারপর একাধিকবার স্ত্রী ও বন্ধুকে সাবধান করেছিলেন কমল। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। সমানে চলছিল পরকীয়া। আর পরকীয়ার পথে কাঁটা সরাতেই প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুনের চক্রান্ত করেছিল স্ত্রী।

সোনারপুরের চৌহাটিতে ব্যবসায়ী কমল বৈদ্য খুনের তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। এই ঘটনায় অনুপম বৈদ্য নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পেরেছে, এই খুনের পিছনে রয়েছে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। মূল অভিযুক্ত মিঠুন রায় পলাতক।

অভিযোগ, কমল বৈদ্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিঠুন। সেই সুবাদে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল কমলের বাড়িতে। এরপরই মিঠুন রায়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে কমলের স্ত্রী। কমলের পরিবারের সদস্যরা বহুবার তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরে ফেলে। কমলও জানতে পারে স্ত্রীর এই স্বভাব। পরিবারের সম্মানহানির ভয়ে তখনকার মতো মিটিয়ে নেওয়া হয়।

ধৃত অনুপম জানায়, মিঠুনই তাকে এই হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায়। মিঠুনের সে কাজ করত। ঘটনার দিন মিঠুন তাকে ডেকে পাঠায়। তারপরই সে গিয়ে দেখে এই ঘটনা। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক মিঠুন। উল্লেখ্য, শনিবার সকালে চৌহাটি বাইপাসের রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় কমল বৈদ্যের গলার নলিকাটা দেহ।
পুলিশ মনে করছে, শুক্রবার রাতে এই খুনের ঘটনা ঘটে। মাকে পোন করে কমল জানিয়েছিলেন, তিনি বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু আর ফিরে আসেননি। ফোনের কললিস্ট ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই রাতে কমল ও মিঠুনের মধ্যে ফোনে কথা হয় রাত দেড়টা নাগাদ। তারপরই এই খুনের ঘটনা ঘটে। কমলের দাদা রাতেই মিঠুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তিনি জানতে পারেন মিঠুন বাড়িতেই রয়েছে, ঘুমোচ্ছে। মদ খাওয়ানোর পর কমলকে খুন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, কমলকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হত মিঠুন। মিঠুনের স্ত্রী এই ধরনের ঘটনা অস্বীকার করেছেন।