এবার সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছাবে টাকা! মোদি-জেটলি বৈঠকে জোর জল্পনা


পাঁচ রাজ্যে হারের ধাক্কায় এবার নড়েচড়ে বসতে চলেছে মোদি সরকার। সূত্রের খবর, লোকসভার আগেই কৃষকদের জন্য বড়সড় প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি-সহ একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোনা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধীর ঋণ মকুবের পালটা চাল হিসেবে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও, সরকারিভাবে এ বিষয়ে তেমন কোনও সিদ্ধান্তের কথা এখনও জানানো হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেয়াদ শেষ হতে বাকি আর মাস চারেক। তার আগে বিজেপি সরকারের সবচেয়ে বড় অস্বস্তির কারণ এখন কৃষক অসন্তোষ। প্রায় গোটা দেশের কৃষকদের মধ্যেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হচ্ছে। যার ফল চাক্ষুষ হয়েছে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের নির্বাচনে। তিন রাজ্যেই কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস। এমনকী রাহুল গান্ধীর প্রতিশ্রুতিমতো ক্ষমতায় আসার পর ঋণ মকুবও করা হয়েছে। এরপরই কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করেছেন, যতদিন না গোটা দেশের সব কৃষকের ঋণ মকুব হচ্ছে, ততদিন প্রধানমন্ত্রীকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবেন না তিনি। মোট কথা কৃষক সমস্যা যে মোদি সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে তা নিয়ে দ্বিমত নেই কারও। আর দ্রুত এই সমস্যা মেটাতে না পারলে ২০১৯ লোকসভায় দলকে বেগ পেতে হতে পারে।

সেসব ভেবেই হয়তো এবার আসরে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। শোনা যাচ্ছে, ভোটের আগে আগে কৃষকদের জন্য 'বাম্পার অফার' ঘোষণা করতে চলেছেন মোদি। রাহুল গান্ধীর দাবিমতো কৃষঋণ মকুব নয়। বরং, কংগ্রেসের ঋণ মকুবের প্রকল্পকেও টেক্কা দিতে চায় বিজেপি। কৃষকরা যাতে সরাসরি সুবিধা পান তা নিশ্চিত করতে তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন মোদি। সূত্রের খবর, লোকসভার আগেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করতে পারেন নতুন প্রকল্প। যাতে, দেশের প্রত্যেক কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি নির্দিষ্ট অংকের টাকা পৌঁছে যাবে মাসোহারা হিসেবে। ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকও করে ফেলেছন প্রধানমন্ত্রী। সব ঠিকঠাক থাকলে লোকসভার আগে বড়সড় স্বস্তি পেতে চলেছেন কৃষকরা। এর আগে এই প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্টের কাজ হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে দিয়ে তাদের মন পেতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। কিন্তু তাতে খুব একটা ফল হয়নি, এবার লোকসভার আগে এই প্রকল্প কার্যকর হলেও তা কতটা সুদূরপ্রসারী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।