তথ্য জানার অধিকারের আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আধিকারিকের


ইটাহার : তথ্য জানার অধিকারের আবেদনে সাড়া দেননি উত্তর দিনাজপুরের BLRO ও DLRO। তাই তাঁদের বেতন থেকে আবেদনকারীকে এক লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। আদালতের এই নির্দেশের পর ভূমি ও ভূমিসংস্কার বিভাগে যোগাযোগ করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আবেদনকারীর আইনজীবী দীপঙ্কর দাস জানান,কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা ভূপতি রঞ্জন মিত্রের ইটাহারের পৈত্রিক জমির একাংশ ভেস্টেড হয়ে যায় ১৯৮০ সালে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। সেই মামলায় ১৯৮৫ সালে নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই সেই মামলার রায়ের কপি ভূপেনবাবু ইটাহারের BLRO ও DLRO অফিসে জমা করেন। হাইকোর্টের রায়কে কার্যকর করার জন্য আবেদন করা হয়। ১৯৮৫ সাল থেকে ২০১১পর্যন্ত বারবার BLRO ও DLRO-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেননি তাঁরা। এরপরই ভূপেনবাবু ২০১১ থেকে BLRO ও DLRO-র কাছে তথ্যের অধিকার জানার আইন অনুসারে চিঠি করে বিষয়টি জানতে চান। সেখানেই জানতে চাওয়া হয় হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন BLRO ও DLRO। কিন্তু, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বারবার তথ্য জানার অধিকারের আইন অনুসারে চিঠি দেওয়া হলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। যতটুকু পাওয়া গিয়েছিল তাও যথার্থ নয়।

এরপরই জুন মাসে উত্তর দিনাজপুর ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা দায়ের করেন ভূপতিবাবু। আদালত সেই মামলার রায় ঘোষণা করে গতকাল। তাই এক লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার জন্য ইটাহারের BLRO ও DLRO-কে নির্দেশ দেওয়া হয় ।দুই মাসের মধ্যেই আবেদনকারীকে এই জরিমানার টাকা দিতে হবে। না দিলে তার সঙ্গে ৫ শতাংশ করে সুদ যোগ হবে বলে জানিয়েছে আদালত।