মেয়েকে ৭ বছর ঘরে তালাবন্দি করে রাখল বাবা ও সৎ মা


আরামবাগ: পাশবিক বললেও কম বলা হয়। মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে দিনের পর দিন নির্যাতন তো ছিলই। কিন্তু মেয়ের বাড়ি থেকে বেরনো আটকাতে তাঁকে ঘরে আটকে শিকল দিয়ে দিয়েছিল বাবা ও সৎ মা। একদিন-দু'দিনের জন্য নয়। প্রায় ৭ বছর মেয়েকে ঘরে তালাবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠল। পাশবিক এই ঘটনা দিনের পর দিন চলতে দেখে আর সহ্য করতে পারেননি প্রতিবেশীরা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে শেষমেশ উদ্ধার করে ওই অসুস্থ মহিলাকে।

আরামবাগের করুই গ্রামের এই ঘটনায় রীতিমতো শিউরে উঠছেন সবাই। প্রায় ১৫ বছর আগে আতিউর রহমানের মেয়ে মিনুর বিয়ে হয়। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই সেই বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর আবার তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরের বছর সেই বিয়েও ভেঙে যায়। মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন, তাই তাঁর সঙ্গে সংসার করতে চাইছিল না স্বামী। অগত্যা বাপের বাড়িতেই ঠাঁই হয় মিনুর। কিন্তু সৎ মায়ের গঞ্জনা নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে যেতেন মিনু। কখনও বাবা আবার পড়শিরা ওই মহিলাকে খুঁজে নিয়ে আসতেন। এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে আতিউর ও তাঁর স্ত্রীর। তাই দু'জনে মিলে এই পাশবিক মতলব ফাঁদেন। মেয়েকে ঘরে তালাবন্দি করে রেখে দেন তাঁরা।

তালাবন্দি ঘরে জানলা দিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। এমন নারকীয় ঘটনা দিনের পর দিন চলতে দেখে পড়শিরা পুলিশকে খবর দেন। আরামবাগ থানার পুলিশ এসে তালা খুলে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে উদ্ধার করে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নিজেদের দোষ কবুল করেছেন আতিউর ও তাঁর স্ত্রী।