চপার দুর্নীতিতে সামনে এসেছে 'মিসেস গান্ধী'র নাম, আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র


মিসেস গান্ধী। চপার দুর্নীতিতে জড়িয়ে গেল তাঁর নাম। অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড চপার ভারত সরকারের কাছে বিক্রি করার জন্য ক্রিস্টিয়ান মিশেল মিডলম্যান ছিলেন বলে অভিযোগ। সেই মিশেল এখন ইডি-র হেফাজতে। সেখানেই তিনি তদন্তকারীদের মিসেস গান্ধীর নাম বলেছেন বলে ইডির দাবি।

শনিবার ভিভিআইপিদের জন্য চপার কেনার এই দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে। সেখানেই ইডি এই দাবি করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।

ওই সংবাদসংস্থার দাবি, ইডি আদালতে জানিয়েছে মিশেল ওই ইতালীয় মহিলার ছেলে সম্বন্ধেও মুখ খুলেছে। কীভাবে তিনি ইতালীয় মহিলার ছেলে) ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেই তথ্যও জেরায় জানিয়েছে মিশেল।

প্রসঙ্গত, এই দুর্নীতি মামলায় বিজেপি প্রথম থেকেই গান্ধী পরিবারের জড়িয়ে থাকার অভিযোগ তুলছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মিশেলের মুখ থেকে বেরনো মিসেস গান্ধী আসলে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। আর তাঁর ছেলে মানে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

ফলে বিজেপি নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল এই ইস্যুতে। তারা সোনিয়া ও রাহুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুতে আক্রমণের ধার বাড়াতে শুরু করেছে। যদিও সঙ্গে সঙ্গে আসরে নেমেছে কংগ্রেস। পালটা আক্রমণেরও পথ নিয়েছে তারা।

আদালতে ইডির এই দাবি সামনে আসার পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র আরিপএন সিং। তাঁর দাবি, চাপ দিয়ে মিশেলকে দিয়ে একটি বিশেষ পরিবারের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, ''একটি পরিবারের নাম জড়ানোর জন্য চৌকিদার কেন সরকারি সংস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করছেন?''

বিজেপিই যে এই কাজ করছেন, তাও স্পষ্টভাবেই অভিযোগ করেছেন ওই কংগ্রেস নেতা। মিশেল কী বলবেন, আদালতে ইডি কী জানাবে, সব বিজেপিই ঠিক করে দিচ্ছে বলেও তিনি পরোক্ষে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর কথায়, ''বিজেপির চিত্রনাট্যকারদের অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হচ্ছে।''

এদিকে এদিন মিশেলকে সাতদিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে মিশেলের আইনজীবীর জন্য কিছু নির্দেশ জারি করেছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, মিশেলের আইনজীবী তার সঙ্গে ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে দেখা করতে পারবেন না। একই সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।