বন্‌ধে ব্যবসার ক্ষতি, তাই এবার নয়া পদক্ষেপ ব্যবসায়ীদের


২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্যে বন্‌ধের সংস্কৃতি তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাতে সায় দিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। এবার এক বামশাসিত রাজ্যও একই পথ অবলম্বন করল। তবে প্রশাসন নয়, বন্‌ধ রুখতে নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেরলের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। বন্‌ধের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন সমস্ত ব্যবসায়ীরা। কেরলে বিভিন্ন সময় একাধিক রাজনৈতিক দলকে বন্‌ধের দাবিতে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে। কখনও শবরীমালা ইস্যু কখনও আবার অন্য কোনও কারণে। এই বন্‌ধের ফলেই ব্যবসাতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে কেরল ট্রাভেল মার্কেটের (কেটিএম) ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি বিগত দু'‌মাস ধরে রাজ্যব্যাপী বন্‌ধের জেরে ব্যবসা প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে তারা বন্‌ধ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কেরল ট্রাভেল মার্কেটের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও রাজনৈতিক দল যদি জোর করে দোকান–পসার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় তাও তারা মানবে না। এই প্রসঙ্গে কেরল ট্রাভেল মার্কেটের প্রেসিডেন্ট বেবি ম্যাথিউ জানান, বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার বন্‌ধ তাঁরা কোনওভাবেই সমর্থন করবেন না। কারণ একটানা দু'‌দিন বন্‌ধ মানে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি। তাই তারা জানুয়ারি মাসেই ৮ ও ৯ তারিখে বন্‌ধের বিরোধিতায় আন্দোলনে সামিল হবেন। ৩৬ টি ব্যবসায়িক সংগঠন সম্মিলিত হয়ে এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। কেরলের একটি ব্যবসায়িক সমিতির প্রেসিডেন্ট টি নাসিরুদ্দিন জানান, এই বন্‌ধের দিনগুলিতে কেরলের সমস্ত দোকান খোলা রাখা হবে। এটাই হবে বন্‌ধের বিরোধিতায় তাঁদের পদক্ষেপ।