মেঘালয়ের খনি থেকে দুর্গন্ধ, খাদানে আটকে থাকা শ্রমিকদের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে সরকার


মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় এলাকার একটি বেআইনি কয়লা খাদানে প্লাবনের জেরে আটকে পড়েছে ১৫ জন শ্রমিক। তিনসপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পরও এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি তাঁদের। এ বছরের জুলাইতে থাইল্যান্ডের একটি গুহাতে আটকে পড়েছিল ১২ জন কিশোর। তাদের উদ্ধারের জন্য ভারতের একটি সংস্থা থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প মেশিন নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই সংস্থাই খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য এগিয়ে এসেছে। মেঘালয় সরকারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, একাধিকবার বিভিন্নভাবে উদ্ধারকার্যের চেষ্টা করা হলেও কিছুতেই শ্রমিকদের উদ্ধার সম্ভব হচ্ছিল না। এরই মধ্যে উদ্ধারকারীরা কয়লা খাদানের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়েছে। মনে করা হচ্ছে তা শ্রমিকদের পচা–গলা দেহের গন্ধ।

পাম্প উৎপাদনকারী সংস্থা কিরলোসকার ব্রাদার্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, '‌মেঘালয়ের খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিয়ে আমরাও বেশ উদ্বেগে রয়েছি এবং আমরা যে কোনও সম্ভাব্য উপায়ে তাঁদের উদ্ধার করতে চাই। আমাদের সংস্থা মেঘালয় সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে। আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি। আশা রাখছি শ্রমিকদের নিরাপদেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।'‌ ১৩ ডিসেম্বর জয়ন্তিয়া পাহাড় এলাকার একটি বেআইনি খাদানে ইঁদুরের মতো গর্ত দিয়ে আশ–পাশের জলাশয়ের মাধ্যমে বন্যার জল ঢুকে পড়ে। যার জেরে আটকে পড়ে ১৫ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারের জন্য দুটি কম–ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প ব্যবহার করে জল বাইরে বের করার চেষ্টা করা হয়েছিল।