‌নির্ভয়া আজও বিপন্ন, ৬ বছরেও পরিণতি পায়নি ধর্ষকদের সাজা


পাকিস্তান পেরেছে।শিশুকে ধর্ষণের সাজায় ফাঁসি দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। কিন্তু এখনও পারেনি ভারত। শাসক বদলেছে। বদলেছে রাজনীতির সমীকরণও। তবু বিচার পায়নি নির্ভয়ারা। ফলাও করে আইন সংশোধন হয়েছে। ফাঁসির চরম সাজা নির্ধারিক হয়েছে। কিন্তু কার্যকর হয়েছে কী?‌ এখনও বহাল তবিয়তে জনসাধারণের অর্থেই দিব্য রয়েছে নির্ভয়ার ধর্ষকরা। সাজা ঘোষণা হলেও। আদালতের স্তর পেরোতে পেরোতেই ছ'‌বছর কেটে গেল। এই চূড়ান্ত উদাসীনতার দায় কার?‌ 
সরকার এবং বিরোধীরা এখন রাজনৈতিক সমীকরণেই মগ্ন। নির্ভয়ার নারকীয় ঘটনা তাঁদের কাছে স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। আইন–প্রশাসনের কাছেও নির্ভয়ার ফাইলে ধুলোর পরত পড়েছে। মুজফফরপুর হোমকাণ্ড,কাঠুয়া ধর্ষণকাণ্ডের মত একের পর এক নারকীয় ধর্ষণের ঘটনার ফাইলবন্দী হয়ে পড়ে রয়েছে দপ্তরে দপ্তরে। নির্ভয়া তো সেই সব ফাইলের চাপে চাপা পড়ে রয়েছে। তাই মেয়ের মৃত্যুর ছ'‌বছর পরেও দোষীদের শাস্তি পেতে দেখতে পেলেন না নির্ভয়ার মা–বাবা।

আমাদের সংসদীয় রাজনীতির এটাও একটা বড়দিক। গণতন্ত্রে মানুষের রায় যেমন শেষ কথা। তেমনই গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষই সবচেয়ে উপেক্ষিত। সেকথা গত ছ'‌বছর ধরে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে নির্ভয়াকাণ্ডে মামলা। একে আইন–শৃঙ্খলার চরম অব্যবস্থা ছাড়া আর কিছু বলতে রাজি নন নির্ভয়ার মা।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অবশ্য নির্ভয়ার স্মরণে রাজ্যের মেয়েদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তাই শেষ কথা। কার্যকর কতটা হবে সেটা নির্ভয়ার ধর্ষকদের পরিণতি দেখেই বোঝা যায়। তাই ভারতে হয়তো নির্ভয়ারা বরাবরই উপেক্ষিত হয়েই রয়ে যাবে। যেভাবে একের পর এক নারকীয় ঘটনার স্মৃতি হয়ে রয়ে যায়। নির্ভয়াও সেভাবেই রয়ে যাবে। কারণ এই দেশে ধর্ষকদের থেকে অনেক বেশি করে জবাবদিহি করতে হয় ধর্ষিতাদের।