পাহাড় জুড়ে বরফ, কাঁপছে দার্জিলিং, কলকাতাতেও শীতলতম দিন

বরফে ঢাকা রাবাংলা।

পাহাড় ঢেকে গিয়েছে বরফে। ঝির ঝির করে পড়ছে তুষারগুঁড়ো। একইসঙ্গে কলকাতাও কাঁপছে। শহরে আজ মরসুমের শীতলতম দিন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তও কার্যত জবুথবু হয়ে গিয়েছে ঠান্ডায়।

হাড়কাঁপানো ঠান্ডা পড়েছে পাহাড়ে। সঙ্গে বরফ। কাঁপছে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সিকিমও। শুক্রবার বরফ পড়ে কালিম্পং জেলার লাভা, রিষপ,রামধুরাতেও। পর্যটকরা বরফ যেমন উপভোগ করছেন, তেমন ঠান্ডায় কষ্টও পাচ্ছেন।

উত্তরবঙ্গের লাভা, রিষপে সকাল থেকেই ছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টি। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ পড়ে বরফ। বরফ পড়েছে রামধুরাতেও। উত্তর সিকিমের লাচেন-লাচুংয়েও বরফ পড়েছে এদিন। বরফ পড়েছে সিকিমের গ্যাংটকে। বরফের জন্য রাস্তা অনেকটাই ঢেকে গিয়েছে বরফে। পশ্চিমবঙ্গের সান্দাকফুতেও হয়েছেতুষারপাত। দার্জিলিঙের পেডং এবং ঘুমেও বরফ পড়েছে। কাঁপছে দার্জিলিংও। সিকিম এবং দার্জিলিঙের অনেক জায়গাতেই তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে শূন্যের নীচে।

পূর্ব সিকিমের নাথুলায় এখন যেমন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।সান্দাকফুতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুব একটা পিছিয়ে নেই দার্জিলিং। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা এমনই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে, জীবনযাত্রা আরও কঠিন হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
 
পাহাড় জুড়ে বরফের চাদর অন্য দিকে, শুক্রবারএকধাক্কায় কলকাতার তাপমাত্রা নেমেগিয়েছে ১১.২ ডিগ্রিতে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩ ডিগ্রি কম। গত ছ'বছরে ডিসেম্বর মাসে তিলোত্তমার তাপমাত্রা এত নীচে কখনও নামেনি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ২০১৫ সালে আজকের দিনে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ১১.৩ ডিগ্রি।

তাপমাত্রা নীচে নামার পূর্বাভাস অবশ্য মিলেছিল আগেই। বড়দিনে তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। বুধবার তা নেমে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কমে ১২তে পৌঁছয়। বৃহস্পতিবার আরও নীচে নেমে তাপমাত্রা দাঁড়ায় ১১.৫ ডিগ্রি।কলকাতার পাশপাশিরাজ্যের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা নীচে নেমে গিয়েছে। শুক্রবার বর্ধমানের তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় ১০ ডিগ্রি, ক্যানিংয়ে ৯ ডিগ্রি ছিল। ওইদিন পানাগড়, পুরুলিয়া, শ্রীনিকেতন এবং হাওড়ার তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭, ৯, ৮.১ এবং ১০.৬ ডিগ্রি।