নোটবন্দির পর ভোটের সময় বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে, বললেন সদ্য প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার

প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াত।

কালো টাকা উদ্ধারে নোটবন্দি দাওয়াই যে কাজে আসেনি, তা প্রমাণ হয়েছে ৯৯ শতাংশেরও বেশি পুরনো নোট রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘরে আসায়। গত দু'বছরে নোট বাতিল নিয়ে নানা মহল থেকে ধেয়ে এসেছে সমালোচনার ঝড়। এ বার অস্বস্তি আরও বাড়ালেন সদ্যপ্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াত। সপ্তাহ খানেক আগে অবসর নিয়েই রাওয়াতের তোপ, আগে যে পরিমাণ টাকা ভোটের সময় উদ্ধার হত, নোটবন্দির পর তা আরও বেড়েছে।

ভোটের সময় কালো টাকার ব্যবহার রুখতে কড়া নজরদারি চালায় নির্বাচন কমিশন। প্রায় সব ভোটেই টাকা উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করে কমিশন। সেই নির্বাচন কমিশনের সর্বোচ্চ পদ থেকে শনিবারই অবসর নিয়েছেন রাওয়াত। তাঁর চেয়ারে বসেছেন সুনীল অরোরা। রাওয়াতের দাবি, পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, নোটবন্দির পরই ভোটের সময় টাকা উদ্ধারের পরিমাণ বেশি।

একটি সংবাদ মাধ্যমে রাওয়াত বলেন, ''মনে করা হয়েছিল, নোট বাতিলের পর ভোটে কালো টাকা ব্যবহারের প্রবণতা কমবে। কিন্তু উদ্ধার হওয়া টাকার পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, নোট বাতিলের আগের চেয়ে পরের নির্বাচনগুলিতে অনেক বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। যে কোনও একটি রাজ্যের হিসাবে দেখলেও সেই পরিমাণ বেশি।''

তবে নির্দিষ্ট কোনও রাজ্য বা লোকসভা-বিধানসভা আসনের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট কোনও পরিসংখ্যান দেননি রাওয়াত। যদিও কমিশনের সদ্যপ্রাক্তন সর্বোচ্চ কর্তার এই মন্তব্য লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের হাতে নয়া অস্ত্র তুলে দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

২০১৬-র ৮ নভেম্বর রাতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার জেরে ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। সেই সময় বলা হয়েছিল কালো টাকা ও কর ফাঁকি ধরতেই নোট বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য কার্যত ব্যর্থ হয়, যখন এ বছরের গোড়াতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দেয়, বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের প্রায় পুরোটাই ফেরত এসেছে।

অন্য দিকে ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি কালো টাকার নাম আর মুখে আনেননি। বলেন, নোট বাতিলের ফলে আয়কর দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বৃহত্তর উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। যদিও ওই দিন কালা দিবস পালন করে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি।