ইন্সপেক্টর খুনে মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজকে আত্মসমর্পণ করতে বলল বজরং দল


বুলন্দশহরে গোরক্ষাকারীদের হাতে মৃত্যু হয়েছে ইন্সপেক্টর সুবোধ সিং সহ আরও এক স্থানীয় যুবকের। মূল অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে এসেছে এই শহরের বজরং দলের সমন্বয়কারী যোগেশ রাজের নাম। বুধবার বজরং দলের পক্ষ থেকে যোগেশ রাজকে পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে এবং তাঁদের বিশ্বাস যোগেশ নিরাপরাধ। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ যোগেশ। পুলিস এখনও ধরতে পারেনি তাকে।

বজরং দলের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক। কারণ এই ঘটনায় পুলিস নিজেই অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে। ২০১৫ সালে দাদরিতে মহম্মদ আকলাখ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং প্রমাণ করেন যে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল ওই ব্যক্তির। সোমবার বুলন্দশহরে মাহাও গ্রামে মৃত গরুর দেহ দেখার পরই অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। উন্মত্ত জনতার সঙ্গে বচসা বেধে যায় পুলিসের। গোরক্ষকদের গুলিতেই মৃত্যু হয় সুবোধ সিং সহ ২০ বছরের যুবকের। যোগেশ রাজ সহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।

মাহাও গ্রামের কিছু বাসিন্দা জানিয়েছেন, যেখান থেকে গরুগুলির দেহাংশ উদ্ধার হয় সেগুলি পুড়িয়ে দিতে রাজি হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু বজরং দলের কর্মীরা এসে সেগুলি নিয়ে পুলিস পোস্টে যায় এবং ঝামেলার সৃষ্টি করে। বজরং দলের নেতাপ্রবীণ ভাটি বলেন, '‌হ্যাঁ, আমরা মৃত গরুর দেহাংশ নিয়ে পুলিসের কাছে গিয়েছিলাম  যথাযথ পদক্ষেপ করার জন্য। পুলিস আমাদের অভিযোগ শোনার পর এফআইআর করেছে, তাহলে আমরা কেন ঝামেলা করব?‌' যোগেশ রাজের নাম তবে কেন উঠে এল এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, '‌কারণ দু'‌টি মামলা একে–অপরের সঙ্গে যুক্ত।

গোহত্যাকারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য পুলিসের কাছে জমায়েত হয়েছিলাম এবং যোগেশ গিয়ে পুলিসের কাছে অভিযোগ লেখায়। পুলিস পোস্টে আচমকাই ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। অথচ যোগেশ কিছু করেনি। তিনি আমাদের জেলার আহ্বায়ক, আমরা তাঁর সঙ্গে আছি এবং তিনি নিরীহ। যোগেশ পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন এবং ঠিক সময়ে বাইরে আসবেন।'‌‌