রুমাল ধরিয়ে দিল 'খুনি' স্ত্রীকে! খড়দা খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়


খড়দায় গুরুগ্রামের বাসিন্দার রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়। গ্রেফতার নিহত প্রতুল চক্রবর্তীর স্ত্রী অদিতি। একটি রুমালের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হল প্রতুল চক্রবর্তীর স্ত্রীকে।

গতকাল খড়দার শান্তিনগরের খালপাড় থেকে উদ্ধার  হয় প্রতুলবাবুর দেহ। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিসের। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যায় মহিলাদের একটি রুমাল। উদ্ধার হওয়া সেই রুমালের সূত্র ধরেই ব্রেক থ্রু পুলিসের। কেষ্টপুর থেকে প্রতুল চক্রবর্তীর স্ত্রী অদিতিকে গ্রেফতার করে খড়দা থানার পুলিস।

পুলিস জানিয়েছে, অদিতির দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী প্রতুল চক্রবর্তী। দমদম এয়ারপোর্টের চাইল্ড কেয়ার অফিসার হিসেবে কর্মরত অদিতি। অদিতির আগের পক্ষের স্বামী ছিলেন দমদম এয়ারপোর্টের চাইল্ড কেয়ার অফিসার। স্বামীর মৃত্যুর পর সেই কম্পেনসেশন গ্রাউন্ডে সেই চাকরিটাই পান অদিতি।

জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় মাত্র ৪ দিন আগে ভাড়া এসেছিলেন প্রতুল চক্রবর্তী। নিজেকে কেষ্টপুর, ঘোলা সহ বিভিন্ন জায়গার হেল্থ সেন্টারের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। এমনকি বাড়িওয়ালা শ্যামল মজুমদারকেও চাকরি করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। চারদিনের মধ্যে এমন ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী।

বাড়িওয়ালা শ্যামল মজুমদার জানিয়েছেন, দালাল অমিতাভ চৌধুরীর মাধ্যমে ভাড়া এসেছিলেন প্রতুল চক্রবর্তী। তাঁর স্ত্রী প্রথমেই আসেননি। এবার স্ত্রী আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেইজন্য তাঁর কাছ থেকে বাড়ির গেটের চাবি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রতুল চক্রবর্তী। এমনকি, স্ত্রী আসবেন বলে কাউকে উপরে আসতে না-ও করে দিয়েছিলেন। এরমধ্যেই বুধবার রাতে খুন হন প্রতুল চক্রবর্তী।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়িওয়ালা শ্যামল মজুমদার ও দালাল অমিতাভ চৌধুরিকে প্রাথমিকভাবে আটক করে পুলিস। পরে উদ্ধার হওয়া রুমালের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় প্রতুল চক্রবর্তীর স্ত্রীকে।