আজ সেমিফাইনালের হার-জিতেই ২০১৯ সালের দেওয়াল লিখন


লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল। তবে বুথফেরত সমীক্ষায় কিছুটা ব্যাকফুটে বিজেপি। আর সমীক্ষা মিলে গেলে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা খেতে চলেছে মোদী-শাহ জুটি। তার উপরে ইতিমধ্যেই যোগ হয়ে গিয়েছে আরবিআইয়ের গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের অকস্মাত্ পদত্যাগ পর্ব।  

মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া ঠেকিয়ে দুই রাজ্যে এবারও গড় ধরে রাখার লড়াই। অন্যদিকে গত ২৫ বছর ধরে রাজস্থানে প্রতি পাঁচবছর অন্তর সরকার পরিবর্তন নিশ্চিত। বুথফেরত সমীক্ষাতেও তার স্পষ্ট আভাস মিলেছে। আর সে জন্য কংগ্রেসের শিবিরে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি। তবে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। এই দুই রাজ্যে বিজেপি গড় বাঁচাতে সক্ষম হলে নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ইতিমধ্যেই দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ওসব সমীক্ষা মানেন না। সবচেয়ে বড় সমীক্ষক তিনিই। 

তেলেঙ্গানায় আবার টিআরএসের ক্ষমতায় আসা পাকা বলে আভাস দিয়েছে সমীক্ষা। তা আন্দাজ করে ইতিমধ্যেই জোটবার্তা দিয়েছে বিজেপি। তবে উত্তর-পূর্ব থেকে দুঃসংবাদ পেতে পারে কংগ্রেস। দেশের এই প্রান্তে শিবরাত্রির সলতের মতো মিজোরামের ক্ষমতাতেই ছিল শতাব্দী প্রাচীন দলটি। সে রাজ্যে কংগ্রেস সরকার পতনের ইঙ্গিত দিয়েছে সমীক্ষা।    

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই ভোটে লড়াইটা আসলে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর। ভোটও হয়েছে একাধিক জাতীয় ইস্যুতে, মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রল এবং ডিজেলের চড়া দাম, আচ্ছে দিন-কর্মসংস্থান, নোটবন্দি-জিএসটি, টাকার দামে পতনের সঙ্গে যোগ রাফাল বিতর্ক। রয়েছে সিবিআই-আরবিআইয়ে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগও। রাম মন্দির থেকে শুরু করে বুলন্দশহরে গোরক্ষকদের তাণ্ডবও।        

সমীক্ষা যে মিলে যাবে তার ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। জনাদেশ একেবারে উল্টো হতে পারে। সদ্য ত্রিপুরাতেও যে বামেদের এমন পতন হবে, তা অতিবড় রাজনৈতিক পণ্ডিতও ভাবতে পারেননি। সুতরাং ভোটগণনার দিন অনেক কিছু ঘটতে পারে। মঙ্গলবারের সকালই বলে দেবে ২০১৯ সালের ফাইনালের চ্যাম্পিয়ন কে?