মমতার সঙ্গে দেখা করলেন ফারুক, সোমবার আসবেন কে চন্দ্রশেখর রাও


কলকাতা: কংগ্রেস, বিজেপি বাদে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়তে উদ্যোগী হলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। সেই লক্ষ্যেই আগামী সোমবার নবান্নে আসছেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই বিষয়ে আলোচনা করতেই তিনি আসছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে শুধু মমতা নন, আগামীকাল, রবিবার তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও ওড়িশায় গিয়ে বিজু জনতা দলের প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এছাড়াও বৈঠক করবেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও। সকলের সঙ্গেই আলোচনা হবে ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে। চন্দ্রশেখর রাও চান, বিজেপি ও কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে একটি ফ্রন্ট তৈরি করা হোক। এই লক্ষ্যে কয়েক মাস আগে নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তারপরে নিজের রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিপুল ভোটে জিতে জাতীয় রাজনীতিতে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট গড়তে উদ্যোগী হলেন।

অন্যদিকে, শুক্রবার নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে দেখা করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। দু'জনের মধ্যে জাতীয় রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। ফারুক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়। কিন্তু আঞ্চলিক দলগুলির ভবিষ্যৎ আছে। এর আগে তাঁর পুত্র ওমর আবদুল্লাও মমতার সঙ্গে নবান্নে এসে দেখা করে গিয়েছিলেন।

লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই জোটের রাজনীতি সক্রিয় হয়ে উঠছে। একদিকে বিজেপিকে ঠেকাতে রাহুল গান্ধী যেমন উদ্যোগী হয়েছেন, তেমনই উদ্যোগী হয়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। আবার কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট করতে এগিয়ে এসেছেন চন্দ্রশেখর রাও। তবে জোট যেমনই হোক না কেন, জাতীয় রাজনীতিতে মধ্যমণি হয়ে উঠছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদ সদস্যের সংখ্যার বিচারে অন্য আঞ্চলিক দলগুলির তুলনায় অনেকটা এগিয়ে আছেন মমতা। ফলে তাঁর গুরুত্বও অনেকটাই বেশি। এছাড়া তিনি নোটবন্দি, জিএসটি সহ নানা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি'র বিরুদ্ধে সর্বাগ্রে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন।

তবে চার রাজ্যের ফলাফলে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বেশ বেকায়দায় পড়েছে বিজেপি। এনডিএ জোটও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে। ইতিমধ্যে সঙ্গ ছাড়ার হুমকি দিয়েছে শিবসেনা। হুমকি দিয়েছে রামবিলাস পাসোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টিও। বিহারে বিজেপি'র বিরুদ্ধে জোট তৈরির প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে মাস তিনেক বাদে লোকসভা ভোটের দামামা বাজার আগেই জোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।