বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের স্থায়ী সমাধান, অযোধ্যা পাহাড়ে তৈরি হবে পাম্পিং স্টেশন


গ্রিড বিভ্রাট কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, কলকাতা বা রাজ্যে যদি হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে থমকে যাবে জনজীবন৷ এমন সম্ভাব্য বিপদের স্থায়ী সমাধান করতে কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে তৈরি হচ্ছে দু'টি ইলেকট্রো পাম্পিং স্টেশন। একটির নাম তুর্গা পাম্পিং স্টেশন, অপরটি বন্ধুনালা। প্রথমটি ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, আর দ্বিতীয়টির উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট।

রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই পাম্পিং স্টেশন চালু হলে লোডশেডিংয়ের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়ে যাবে। তবে শুধুমাত্র আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্যই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ ওই দুটি পাম্পিং স্টেশন থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে না৷ আচমকা বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবিলা করতে ২০০৮ সালে অযোধ্যা পাহাড়ে তৈরি হয় পুরুলিয়া পাম্পিং স্টেশন। যার উৎপাদন ক্ষমতা ৯০০ মেগাওয়াট। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। পুরনো বিদুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির রক্ষণাবেক্ষণেও খরচ বেড়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, "শুধুমাত্র পুরুলিয়া পাম্পিং স্টেশনের উপর ভরসা করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবিলা কার্যত অসম্ভব। তাই অযোধ্যা পাহাড়ের নিচে আরও দু'টি হাইড্রোইলেকট্রিক পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হবে।"

প্রশাসন সূত্রে খবর, তুর্গা পাম্পিং স্টেশন তৈরি হবে বিদেশি সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়। সেখান থেকে পাওয়া যাবে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বন্ধুনালা পাম্পিং স্টেশনটিও পিপিপি মডেলে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। আগামী বছর পুরুলিয়া অযোধ্যা পাহাড়ে দুটি  দু'টি হাইড্রোইলেকট্রিক পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হবে৷ আট বছরের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷